সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নিখোঁজ নজিবুল্লাহ এখন ইরাকে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজ নজিবুল্লাহ এখন ইরাকে!

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিখোঁজ যে ১০ জনের ছবি প্রকাশ হয় তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী আইএসে যোগ দিয়ে ইরাকে গেছেন বলে ফেসবুকে লিখেছেন। দেড় বছর ধরে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নজিবুল্লাহ আনসারী একজন নৌ-প্রকৌশলী। নিখোঁজ হওয়া এই যুবক তার ইরাকে চলে যাওয়ার খবরটি নিজেই তার ভাইকে ফেসবুকে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নজিবুল্লাহর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে গত ১০ জুলাই চট্টগ্রাম ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নজিবুল্লাহর বাবা নৌ-বাহিনীর সাবেক সদস্য রফিকুল্লাহ আনসারী। ছেলের সন্ধান চেয়ে তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, তার ছেলে নৌ-প্রকৌশলী নজিবুল্লাহ ফেসবুক বার্তায় ‘আইএস, ইরাকে গেলাম’ বলে তথ্য দেয়। এরপর আর যোগাযোগ নেই। রফিকুল্লাহর বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের চকনাধরা গ্রামে হলেও চাকরির কারণে তার বাইরেই কেটেছে। অবসরের পরে সপরিবারে তিনি চট্টগ্রাম নাবিক কলোনিতে বসবাস করছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবার চাকরিসূত্রে চট্টগ্রামে বড় হওয়া নজিবুল্লাহর জন্ম ১৯৮৭ সালে। নগরীর হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ২০০৫ সালে এসএসসি ও ২০০৭ সালে এইচএসসি পাস করেন জিপিএ-৫ পেয়ে। রফিকুল্লাহ তার জিডিতে লিখেছেন, এইচএসসি পাস করার পর তার ছেলে মালয়েশিয়া মেরিন একাডেমিতে পড়তে যায়। সেখানে থাকার সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বৃত্তি’ নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০১২ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জাহাজে চাকরি নেয় নজিবুল্লাহ। চাকরির সুবাদে তার বিভিন্ন দেশে যাতায়াত ছিল উল্লেখ করে রফিকুল্লাহ জিডিতে আরও বলেন, গত বছরের জানুয়ারি মাসে নজিবুল্লাহ তার ভাইয়ের  ফেসবুকে এসএমএস করেছিল। গত ৮ জুলাই টেলিভিশনে ছেলে নিখোঁজের সংবাদ ও ছবি দেখার পর রফিকুল্লাহ নিকটজনদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পেটি অফিসার রফিকুল্লাহ বলেন, দেড় বছর ধরে নজিবুল্লাহর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। পুলিশ জানিয়েছে, এই পরিবার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার পুলিশও খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর