মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ওয়ানডেতে শততম জয়ের অপেক্ষায় মাশরাফিরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রায় এক বছরের বিরতি শেষে রবিবার ওয়ানডে খেললেন মাশরাফি, সাকিবরা। ৩১৮ দিনের বিরতির পর মাঠে নেমে জয় পেতে ঘাম ছুটেছে বাংলাদেশের। আইসিসি সহযোগী দেশ আফগানিস্তানকে ৭ রানে হারাতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাশরাফি, তামিম, মাহমুদুল্লাহ, তাসকিনরা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিতে এখন নতুন এক রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা। আগামীকাল জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরির পূরণ করে ফেলবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাশরাফিদের সিরিজ শুরু ওয়ানডের শততম জয়ের হাতছানি নিয়ে। সিরিজ শুরুর আগে ৩১২ ওয়ানডে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা ছিল ৯৮টি। তাসকিনের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ে হারা ম্যাচ জিতে সংখ্যাটাকে ৯৯ করেন মাশরাফিরা। আগামীকাল জিতলেই সংখ্যা হবে ১০০। সেই সুখকর মুহূর্তের অপেক্ষায় গোটা দেশ, ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ প্রথম ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। কলম্বোয় দ্বিতীয় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুরা হেরেছিলেন ৬ উইকেটে। এরপর গত ৩০ বছর ধরে নিয়মিত খেলছে ওয়ানডে। সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটও খেলছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয় ১৯৯৮ সালে, ভারতের মাটিতে কেনিয়ার বিপক্ষে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ক্রিকেট লড়াইয়ের আগে মাশরাফিরা সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল গত ১৫ নভেম্বর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি মাশরাফিরা জিতেছিলেন ৬১ রানে। এরপর গত ১০ মাস আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেনি। যদিও মার্চ-এপ্রিলে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপ শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পরপর টাইগাররা তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে তিনটি ৭, ৯ ও ১২ অক্টোবর। প্রথম দুটি মিরপুরে এবং তৃতীয়টি চট্টগ্রামে। তিন দশকে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৩১৩টি। ৯৯ জয়ের বিপরীতে হার ২১০টি এবং টাই ৪টি। সবচেয়ে বেশি ৬৭টি ওয়ানডে খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জয় ৩৯ এবং হার ২৮টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ ওয়ানডের প্রতিপক্ষ ‘দ্বীপরাস্ট্র’ শ্রীলঙ্কা। ৪ জয়ের বিপক্ষে হার ৩১টি। প্রতিবেশী ভারতের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচে জয় ৫টি এবং হার ২৬টি। পরিত্যক্ত একটি।

সর্বশেষ খবর