সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ট্রাম্পকার্ড নারায়ণগঞ্জ

আইভীকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নানামুখী তত্পরতায়, মাঠে নেমে দলকে চাঙ্গা করার নতুন চ্যালেঞ্জে বিএনপি, সতর্ক অবস্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

মাহমুদ আজহার, গোলাম রাব্বানী ও রফিকুল ইসলাম রনি

ট্রাম্পকার্ড নারায়ণগঞ্জ

ট্রাম্পকার্ড এবার নারায়ণগঞ্জ। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীক নিয়ে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ফের মুখোমুখি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে। বিদায়ের আগে শেষ এ নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে নৌকা-ধানের শীষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার প্রত্যাশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে প্রার্থীর যোগ্যতার চেয়ে নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকই মুখ্য হিসেবে বিবেচনা করছেন সাধারণ ভোটাররা। উৎসবের নগরীতে রূপ নিতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। সেই সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছেন তিনি। নির্বাচনে ভোট কারচুপির শঙ্কা মাথায় নিয়েই এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নীতিগত অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারের নাম আগে শোনা গেলেও প্রার্থী হতে তার অসম্মতি থাকায় গতকাল  রাতে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক দুই বারের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।  প্রধান দুই দলের বাইরে ছোট ছোট দলও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছে। তবে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না।’ তবে স্থানীয়ভাবে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার তোড়জোড় চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে বিগত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো নিয়ে নানামুখী প্রশ্নের মুখে এবারের এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা নির্বাচন কমিশনের (ইসির) জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচন সামনে রেখে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুই শতাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কেউ বাধার মুখোমুখি হননি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা মনিটরিংয়ের জন্য আজ (সোমবার) আইনশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হবে।’

আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করব।’ সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বিজয়ী করতে নানামুখী তত্পরতা শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। প্রথমে আইভীকে বাদ রেখেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে দলের হাইকমান্ডে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দলের মনোনয়ন বোর্ডের নির্বাচনের সব যোগ্যতার মাপকাঠিতে আইভীই এগিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেই দলীয় প্রার্থী করা হয়। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ না থাকলেও একটি অংশ মনঃক্ষুণ্ন বলে জানা গেছে। যে কারণে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে এক কাতারে আনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। দলীয় সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ফেলা হবে।  শুক্রবার মনোনয়ন পাওয়ার পর দলীয় সভানেত্রীকে আইভী যখন সালাম করছিলেন, তখন আইভীকে উদ্দেশ করে সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সবার ঘরেই যেতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের ঘরেও যেতে হবে।’ সূত্রমতে, দুই শিবিরে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে আজ প্রাথমিক উদ্যোগ নেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ডাকা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা ও মহানগরের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক অনির্ধারিত আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রাশিদুল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আগামীকাল (সোমবার) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে গণভবনে বৈঠক করবেন। সেখানে সবার কথা শোনার পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেবেন তিনি।’ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী আইভী। নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন বলে বিশ্বাস করি। আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়ন নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাব। মানুষের মন জয় করব।’ নারায়ণগঞ্জের তৃণমূলের নেতারাও বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার হয়েই সবাই কাজ করবেন। তারা আশা করেন, ওসমান পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সবাই আইভীর পক্ষে কাজ করবেন। কারণ তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার কাছে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল আছে। তিনি আমাদের সেগুলো বলবেন। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা একজন কর্মী হিসেবে সাধুবাদ জানাই। আমরা নৌকার পক্ষেই কাজ করব।’

বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন সাখাওয়াত হোসেন খান : নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও তিনি নির্বাচন করতে সম্মত নন। তার অনাগ্রহের বিষয়টি তিনি দলীয় উচ্চপর্যায়কে জানিয়েছেন। ফলে গতকাল রাতে এ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। রাত সোয়া ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে অংশ নেন জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান এবং জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ আলম। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ছিলেন দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক সূত্র জানায়, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে দলীয় মেয়র প্রার্থী করার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। আজ ঢাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ ইস্যুতেই বিএনপির ফের রাজপথ চাঙ্গা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় দুটোতেই লাভ রয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ নির্বাচনকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারে দলটি। ভোট ডাকাতি হলে ওই ইস্যুকেও আগামী সংসদ নির্বাচনে ইস্যু হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। অতীতে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনেই বিএনপি অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে। কিন্তু আমাদের শঙ্কা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে কিনা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হবেই ইনশা আল্লাহ।’ গতকাল সন্ধ্যায় তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে তার অনাগ্রহের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে কারণে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যায়নি বিএনপি, একই কারণে এ নির্বাচন করা উচিত নয়। এটা করে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজ অনেকেই ঢাকায় বসে রাজনীতি করেন। তাই অনেক কথা বলেন। আমি তো মাঠের রাজনীতি করি। এখানকার বাস্তবতা বুঝি। বিগত উপজেলা, পৌর এবং ইউপি নির্বাচনেও আমি মাঠে ছিলাম। যারা প্রার্থী ছিলেন, তারাই ভোট দিতে পারেননি। তাদের সব ভোটই নৌকায় পড়েছে। আবার পাস করলেও সরকারের সঙ্গে দালালি করে চলতে হবে। নতুবা জেলে যেতে হবে। আমাদের যেসব চেয়ারম্যান বা মেয়র বাইরে রয়েছেন, তারা সবাই দালালি করে চলছেন। যারা করেননি, তারা জেলে রয়েছেন। এ অবস্থাগুলো আমি ম্যাডামকে জানাব।’ নিজের আর্থিক কোনো সংকট নেই দাবি করে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার বাবার অনেক সম্পত্তি রয়েছে। এটা কোনো সমস্যা নয়। আমাদের টাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা চলছে।’ অন্যদিকে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ নির্বাচন আমাদের জন্য এসিড টেস্ট। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে আমরা নির্বাচনে থাকব। দলের প্রার্থী যিনিই হোন, তার পক্ষেই আমাদের সব নেতা-কর্মীর অবস্থান থাকবে। দল আমাকে প্রার্থী করলে আমি লড়তে চাই।’ মেয়র পদ প্রত্যাশী বিএনপি নেতা এ টি এম কামাল বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছি। তবে চেয়ারপারসন যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে আমরা কাজ করব।’

বিশেষ অভিযান শুরু : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। এ প্রসঙ্গে গতকাল নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মইনুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আপাতত আমরা সাত দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। পুলিশের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’

 

সর্বশেষ খবর