মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

যশোরে জঙ্গি মারজানের বোনের আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

১৩ ঘণ্টার ‘অপারেশন মেল্টেড আইচ’ শেষে যশোর শহরের একটি বাড়ি থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সন্দেহভাজন জঙ্গি খাদিজা। এ সময় তার সঙ্গে তিনটি শিশু ছিল। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। অভিযান শেষে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, খাদিজাকে আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাড়িটি থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো বাড়িটির পাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। খাদিজার স্বামী কোথায় সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। এর আগে গতকাল দুপুরে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে খবর পেয়ে রবিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদপাড়ার চার তলা বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করে। পরে সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা রয়েছেন বলে তাদের কাছে খবর ছিল। সকালেই ঘটনাস্থলে কাউন্টার টেররিজমের একটি ও সোয়াতের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই বিল্ডিংয়ের সামনে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়। তার আগেই ওই বিল্ডিংয়ে থাকা অন্য পাঁচটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় পুলিশ। পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করতে চান। তবে তিনি শর্ত দেন যে, আত্মসমর্পণের আগে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শর্ত মেনে পাবনা থেকে নিয়ে আসা হয় খাদিজার বাবা-মাকে। সাক্ষাৎ পর্ব শেষ হলে বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে তিন শিশুসহ খাদিজা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তবে তাদের মিডিয়ার সামনে নেওয়া হয়নি। আত্মসমর্পণের পরপরই খাদিজা ও তার তিন সন্তানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে পুলিশ নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, শহরের ঘোপ এলাকায় ওই বাড়িটির মালিক যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলীর স্ত্রী ইসমত আরা। তবে তারা কেউ এ বাড়িতে থাকেন না। হায়দার আলী বলেন, মশিউর রহমান (খাদিজার স্বামী পরিচয়দানকারী) নামে এক ব্যক্তি দেড় বছর আগে তাদের চার তলা বিল্ডিংয়ের দোতলার পশ্চিম অংশ ভাড়া নেন। মশিউর রহমান একটি হারবাল কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে সে সময় জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর