জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা গণহত্যার বিষয়টি সে দেশের মানবাধিকার কমিশনও স্বীকার করেছে। আগে আমরা মিয়ানমারের মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলাম গণহত্যা বন্ধে তাদের সরকারকে বোঝাতে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জবাবে তারা গণহত্যার বিষয়টি একটু ঘুরিয়ে স্বীকার করে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে ৭ দফা সুপারিশ করছে মানবাধিকার কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে কাজী রিয়াজুল হক জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে ‘অনুপত্র’ দেওয়া হয়েছে। সবার জন্য মিয়ানমার এখন ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সে ক্ষেত্রে অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সাড়া দেয়নি। যে আরসার হামলার অজুহাত তুলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে, সেই আরসা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আসলেই আরসা কারা? হয়তো মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেই ঘটনা ঘটিয়ে রোহিঙ্গা তাড়িয়ে সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল বানাতে চাইছে। আন্তর্জাতিকভাবে এর তদন্ত হওয়া উচিত। আর একপেশে অভিযোগ দিয়ে গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিসি ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বিচার হতে পারে। মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সর্বশেষ রবিবার ও সোমবার কমিশনের অনুসন্ধান দল, ইউএনডিপি ও সুইডিশ দূতাবাসের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন বলেও জানান কাজী রিয়াজুল হক। মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে— রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের জন্য বাফার জোন তৈরি করা, জাতিসংঘের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা, বাংলাদেশে বসবাস করা ‘১০ লাখ’ রোহিঙ্গার মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান, কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি না করে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করে মিয়ানমার রাষ্ট্র কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা, প্রয়োজনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপ করা এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে যে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করেছে, এসব কারণে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা। সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশার বিবরণসহ একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
শিরোনাম
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
- ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
- অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
- জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
- মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
- অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
রোহিঙ্গা নিয়ে সাত সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর