ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, ডাকসু সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত ছিল। দীর্ঘ সময় ডাকসু ভোট না হওয়ায় ছাত্ররাজনীতি গতিহীন হয়ে পড়েছিল। আবারও ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে, ডাকসুর নির্বাচিত জিএস হিসেবে আমি চাই গণতান্ত্রিক সহাবস্থান। কাউকে বেশি সুবিধা দেওয়া কিংবা কাউকে বাধা দিয়ে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হবে না। এজন্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠন সবাই মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডাকসুর নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্ররাজনীতিতে এক ধরনের শূন্যতা বা গতিহীনতা রয়েছে। আশা করি এই ভোটের মাধ্যমে গতি ফিরে আসবে আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে। রাজনৈতিক নেতৃত্বেও এক ধরনের শূন্যতা আমরা দেখছি যারা ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে উঠে এসেছেন। যাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনেক বেশি। সুদক্ষ নেতৃত্বে ঘাটতি আমরা দেখছি। ডাকসুতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই পরবর্তীতে সরাসরি রাজনীতিতে থাকেননি। কিন্তু তারা যেখানে গেছেন সেখানেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিবর্তনের, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের। গত ২৮ বছর আমাদের ছাত্ররাজনীতির সৌহার্দ্য নষ্ট হয়েছে। যারা যখন ক্ষমতায় ি গেছেন তারা শিক্ষাঙ্গনকে ব্যবহার করেছেন নিজেদের স্বার্থে। ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত হলে এমনটি হতো না। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যারা শিক্ষক আছেন তাদের কিছুটা অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। কারণ আমার ধারণা, শিক্ষকদের অধিকাংশ ডাকসু নির্বাচন দেখেননি। তারা ব্যবস্থাপনা করেননি। তাই এবার নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু নাও হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোট। এই ভোট যে কোনো মূল্যে সফল করতে হবে। নানা রকমের অভিযোগ রয়েছে। ভোট কেন্দ্র নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। হলে ভোট কেন্দ্র হোক। সেখানে ভোট কেন্দ্র রেখেই সমাধান করতে হবে। আমাদের সময় হলেই ভোট কেন্দ্র ছিল। এরপরও হলে ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন। তারা হলের সব ছাত্র সংগঠন নিয়ে আলাদা বৈঠক করতে পারেন। হলের পরিবেশ, সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারেন। একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, ডাকসু নির্বাচনে সরকারবিরোধীরাও যদি নির্বাচিত হন সেটা এমন কোনো সমস্যা নয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও সেটা মনে করেন না বলেই আমরা জানি। ডাকসুর সাবেক এই জিএস বলেন, ডাকসু শুধু রাজনৈতিক বন্ধ্যত্ব কাটাবে না, আমাদের গণতান্ত্রিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের যে সংকট সেখানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সহিংসতা ঠেকাবে ডাকসুর নির্বাচন। বর্তমান নির্বাচনে অস্ত্রবাজি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে কোনো সময় সেটা ফিরে আসতে পারে। ক্ষমতা দখল করতে বা রাখতে অনিয়ম সহিংসতা হলে সেটা হবে আমাদের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেটা যেন না হয় সেজন্য সবাই ভূমিকা রাখবেন। প্রতিটি হলে সব ছাত্র সংগঠনের কর্মকা- নাও থাকতে পারে। কিন্তু সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবেন। সবার সঙ্গে মিলে কীভাবে গ্রহণযোগ্য একটি ভোট করা যায় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে এটাই আশা করি আমি।
শিরোনাম
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
- গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
- শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
ডাকসু ভোটে গণতান্ত্রিক সহাবস্থান থাকতে হবে
আলী রিয়াজ
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর