শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

নুসরাতসহ সব হত্যার বিচার চাইল টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নুসরাত হত্যার ন্যায়বিচার ও সকল পর্যায়ে বিচারহীনতার অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) জাতীয় শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর ভূমিকা পালনের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত দেশের ৪৫টি অঞ্চলের সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা সভায় এসব দাবি জানান। বৃহস্পতিবার বিকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এ সভায় সদস্যরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকে অধিকতর সম্পৃক্ত করে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন আরও জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এবং সাধারণ পর্ষদে টিআইবির সনাকের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় ১২৮ জন সনাক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং অনিয়মের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া এবং এর প্রভাবে চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন সনাক প্রতিনিধিরা। এসব অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে সড়ক-মহাসড়কে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। মৃত্যুর মিছিল বন্ধে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি অগ্নিদুর্ঘটনায় উদ্বেগজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সহ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন এবং গণমাধ্যমসহ জনগণের মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তারা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাকস্বাধীনতা খর্বকারী সব ধারা এবং বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইনের ১৪ ধারা বাতিলের দাবিও জানান প্রতিনিধিরা। সরকারের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’ নীতিকে সাধুবাদ জানিয়ে ঘোষণাপত্রে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদককে কার্যকর করা, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বাতিল ও আর্থিক খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর