শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ আপডেট:

জাতির সামনে বিদ্রূপ ও উপহাসের পাত্রে পরিণত খান

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির সামনে বিদ্রূপ ও উপহাসের পাত্রে পরিণত খান

রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইসহ বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিয়ে মিথ্যাচারের বিকৃত ইতিহাস তৈরি করে জাতির সামনে উপহাস ও বিদ্রূপের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। নিজে নিজেকে মিথ্যা কথা বলে কীভাবে ছোট করতে হয়, তার নমুনা দেখিয়েছেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝেছিলেন, এ দেশ বাঙালির অধিকার রক্ষার জন্য নয়, তাই বাঙালি জাতির অধিকার আদায় ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে পাকিস্তান সৃষ্টির আগে কলকাতায় বসে তাঁর সমকালীন কয়েকজন ছাত্রনেতার সঙ্গে যে আলোচনা করেছিলেন তার ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি রুমে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর ’৪৯ সালের ২৩ জুন কারাগারে বসেও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। জনগণের প্রতি গভীর প্রেম ও বিশ্বাস, লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অবিচল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান যে পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল রাজনীতিবিদ তা তিনি তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন। জীবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন প্রায় যৌবনের ১৩টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। জেল, জুলুম, ফাঁসি কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি। কখন কী বলতে হবে, কখন কী করতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের নেতা বিশ্বরাজনীতিতেই বিরল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। তাঁর জনগণকে সঠিক পথ দেখানো ছাড়া কোনো দিন কখনো অসতর্কভাবেও ভুল নির্দেশ দেননি। ’৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। মওলানা ভাসানী দলের প্রতিষ্ঠাতা হয়েও ন্যাপ গঠন করে দল ছেড়ে দিয়েছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে কঠোর দমননীতি চালিয়েছেন। দলের ভাঙা-গড়ার মধ্যেও জীবনের কঠিন দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবিচল থেকে দেশের ছাত্রসমাজকে ছাত্রলীগের পতাকাতলে এবং গণমানুষকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত করে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা নিয়ে সারা দেশে একের পর এক জনসভা করে কীভাবে জনপ্রিয় করেছিলেন এবং সেই ৩৫ দিনের সফরে ৩২টি জনসভা ও আটবার গ্রেফতার হওয়ার মধ্য দিয়ে ছয় দফাকে এতটাই তুমুল জনপ্রিয় করেছিলেন যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তালুকদার মনিরুজ্জামান লিখেছিলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ একটি বিপ্লবের জন্য ছয় দফা ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা ছাড়া পাকিস্তান সরকারের আর কোনো পথ ছিল না।’ তোফায়েল আহমেদের ভাষায়, ‘ছয় দফা আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, জনগণ গ্রহণ করেনি’ বলে সিরাজুল আলম খান তার নিউক্লিয়াস তত্ত্বের যে জিগির করছেন তা বোগাস। তার বইয়ে লেখা ব্যক্তিগত জীবন ছাড়া সব রাজনৈতিক ঘটনা মিথ্যার আশ্রয়ে লেখা। তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের এমনকি জনগণকে খাটো করেছেন। নিজেকে বড় করতে গিয়ে ইতিহাসের সত্যকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। মিথ্যা দিয়ে যে কেউ বড় হয় না, এ জ্ঞানটুকু তিনি হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের স্থানীয় নেতা বানিয়েছেন। ’৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তে ৭ জুনের হরতাল ঘোষিত হয়েছিল। ৭ জুনের হরতাল পালন করতে শেখ ফজলুল হক মণি অগ্রণী ভূমিকা রাখায় জুলাই মাসে ইকবাল হলের আমার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেউ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে খবর দিলে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সিরাজুল আলম খান আমিত্ব জাহির করতে গিয়ে বলেছেন, ৭ জুন হরতালের দিন পুলিশের গাড়িতে করে তাকে পোস্তগোলা শ্রমিকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আওয়ামী লীগ অফিসে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়, তিনি কী পরিমাণ মিথ্যাচার করেছেন। আর মিথ্যাচার করে না থাকলে যখন সব নেতা জেলে যান, তখন পুলিশ তাকে গাড়িতে করে আনা-নেওয়া করে কোন রহস্যজনক কারণে; এ প্রশ্ন এসে যায়।

আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন ফাঁসিতে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছিল কারাগারে আটক রেখে, যখন সব রাজনৈতিক নেতা কারাগারে তখন ঊনসত্তরের গণআন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান বঙ্গবন্ধুকে নায়কের বেশে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে মুক্ত করেই আনেনি, আইয়ুব খানের পতনই ঘটায়নি, স্বাধীনতার মাইলফলক সৃষ্টি করেছিল। অথচ তিনি তার লেখায় সেই ইতিহাসকে খাটো করেছেন। তার কোনো ভূমিকা না থাকার পরও নিউক্লিয়াসের তত্ত্ব এনে ইতিহাসের চরম মিথ্যাচারই করেননি, সর্বদলীয় ছাত্রসংগাম পরিষদের সব নেতা ও সংগঠনকে অবমূল্যায়ন করেছেন। ১১ দফা প্রণয়নে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণে এবং সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠনে তার কোনো অবদান ছিল না।

তোফায়েল আহমেদ জানান, ১৪৪ ধারা ভাঙার আসামি তখন তিনি। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস পাঁচপাত্তু হত্যাকা- ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তাই সময়মতো ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় তিনি ডাকসুর ভিপি ও কারাবন্দী ভুট্টোপন্থি এনএসএফের নাজিম কামরান চৌধুরী ডাকসুর জিএস থেকে যান। তোফায়েল আহমেদ ভোলা গেলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। এতে তিনি পালিয়ে ’৬৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় চলে আসেন। ’৬৯ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ও নাজিম কামরান চৌধুরী আইয়ুব খানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কলাভবনের সামনে কালো পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র সমাবেশ করেন।

তোফায়েলের ভাষায়, তখন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী। তাদের একটাই চিন্তা- কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত করা যায়। ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী ও অন্য গ্রুপের নেতা রাশেদ খান মেনন তখন কারাগারে। তারা এই ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশকে নিয়ে ডাকসু ভবনে বৈঠক করেন। সেদিনের খবরের কাগজে ইতিহাসের সত্যতা এখনো লেখা আছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশ মিলে তিনটি সংগঠন থেকে তিনটি ড্রাফট পেশ করা হয়। ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফের লেখার হাত ছিল ভালো। ছাত্রলীগের ড্রাফটি তিনিই তৈরি করেন। ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাকসহ আওয়ামী লীগের নেতারাও কারাগারে। শুধু সিরাজুল আলম খান বাইরে। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন শামসুদ্দোহা ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক। আরেক অংশের নেতা মাহবুব উল্লাহ ও মোস্তফা জামাল হায়দার। পরে এনএসএফ যুক্ত হলে তাদের প্রতিনিধি হন ফখরুল ইসলাম মুন্সী ও ইব্রাহীম খলিল। ১১ দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি আনা না গেলেও আগরতলা মামলা প্রত্যাহার ও সব রাজবন্দীর মুক্তি চাওয়া হয় এবং সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা জুড়ে দেওয়া হয়। সিরাজুল আলম খান রগরগে মিথ্যাচার করতে গিয়ে বলেছিলেন, ছয় দফার পক্ষে সমর্থন নিতে তিনি ফজলুল কাদের চৌধুরী থেকে অনেকের কাছে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার জন্য মওলানা ভাসানীদের মতো নেতাদের সমর্থন আদায়ের উচ্চতার নেতা তিনি ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু ’৬৬ সালে আওয়ামী লীগ সম্মেলনের শেষ দিন ২০ মার্চ পল্টনে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘ছয় দফা নিয়ে অনেকের কাছেই গিয়েছিলাম, কেউ সমর্থন করেননি।’ তখন তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে’ উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছিলেন, কর্মীর দল আওয়ামী লীগ। কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ছয় দফার আন্দোলনকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা চূড়ান্ত করলে ৪ জানুয়ারি তারা একটি বিবৃতি দেন যা ৫ জানুয়ারির সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১১ দফা আন্দোলনে তার চেয়ে বড় নেতারা নেতৃত্বে থাকলেও ডাকসু যেহেতু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তাই ডাকসু ভিপি হিসেবে তাকেই সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেয়। তাই তিনি সব সভা পরিচালনাও করতেন সভাপতিত্বও করতেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঊনসত্তরের ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রউফ, সাইফউদ্দিন মানিক ও ইব্রাহীম খলিল বেঁচে না থাকলেও আমরা সাতজন জীবিত আছি। সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য যে সত্যের ধারেকাছে নেই তার নিজস্ব মনগড়া উদ্ভট কল্পনাপ্রসূত মনের ফসল তা জীবিত অন্যরাও বলতে পারবেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ’৬৯-এর সেই অগ্নিঝরা প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা কিংবা ইতিহাসের উত্তাল পল্টনের দিকে যখন ফিরে তাকাই তখন রীতিমতো অবাক হই। ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ৫ শতাধিক ছাত্রের সামনে টেবিলে দাঁড়িয়ে আমরা ১০ জন ছাত্রনেতা বক্তৃতা করে আন্দোলনের সূচনা করি। সেদিন সভাপতির ভাষণ দিতে গিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের মিছিল শুরু করলে তৎকালীন ঢাকার ডিসি এম কে আনোয়ার ও পুলিশ সুপার মামুন মাহমুদ পরবর্তীতে ভিআইপি হয়ে সারদায়, একাত্তরে শহীদ ভিসির বাড়ির সামনে অনুরোধ করেন সামনে অগ্রসর না হতে। কিন্তু আমরা তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করলে টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ শুরু হয়। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফ আহত হন। আমরা ডাকসু অফিসে গিয়ে আবার পরদিন কর্মসূচি দিলাম। ৫ শতাধিক ছাত্রছাত্রী নিয়ে বটতলা থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও আইয়ুববিরোধী যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম, ১৮ জানুয়ারি সংগ্রামের স্রোতে সহস্র কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল- ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পতন চাই’। ১৯ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সেদিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের মিছিল বের হয়েছিল। ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত সেই মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা আসাদ উল্লাহ ও পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আহত হন। প্রতিবাদে ২০ ফেব্রুয়ারি বটতলায় ছাত্র সমাবেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। গাড়ি বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে হয় আমাদের। ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া হাজার হাজার ছাত্রের মিছিলে গুলিবর্ষণ হলে আসাদুজ্জামান নিহত হন। আসাদের লাল রক্তে ভেজা শার্ট দিয়ে তৈরি হয় পতাকা। ২১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে শহীদ আসাদের জানাজায় শোকে-ক্ষোভে উত্তাল জনসমুদ্র। যেন এক শহীদের রক্ত ছাত্র-জনতার চেতনায় আগুন ছড়িয়েছে। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে আপসহীন সংগ্রামের শপথ নিতে এসেছে সবাই। মওলানা ভাসানীসহ সব জাতীয় নেতাও এসেছেন জানাজায়। ডাকসু ভিপি ও সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি। ২২ জানুয়ারি কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন। ২৩ তারিখ মশালমিছিল আর ২৪ তারিখ ২টা পর্যন্ত হরতাল। ২২ তারিখ ঢাকায় সব বাড়ি আর গাড়িতে কালো পতাকা ওড়ল। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। শোক নয় যেন প্রতিবাদে জেগে উঠল ঢাকা নগরী। একজন মানুষও ঢাকায় দেখা গেল না যার বুকে শোকের চিহ্ন কালো ব্যাজ নেই। ২৩ তারিখ ঢাকা মশাল আর মিছিলের নগরীতে পরিণত হলো। প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠল ঢাকায়। ২৪ তারিখ হরতালের সকাল থেকে ছাত্র-জনতা নেমে এলো রাজপথে। বিক্ষোভে উত্তাল নগরী। সচিবালয়ের পাশে আবদুল গণি রোডে মন্ত্রীর বাড়িতে আক্রমণ হলো। পুলিশের গুলিতে নবকুমার ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মতিয়ুরের সঙ্গে মকবুল, রুস্তমসহ চারজন নিহত হয়। লাশ নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পল্টনে যাই। সর্বত্র এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ ঢাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলল ঢাকায়। দৈনিক পাকিস্তান, মর্নিং নিউজ অফিসে আগুন জ্বালানো হয়। এমএনএ এন এ লস্করের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সাক্ষীদের বাড়ি খুঁজতে থাকল জনতা। বিচারপতি এস এ রহমানের বাড়িতে আক্রমণ হলে তিনি লুঙ্গি পরে পালালেন। পল্টনে তিল ধারণের জায়গা নেই। মানুষ, মানুষ আর মানুষ। তারা গভর্নর হাউস আক্রমণ করতে চায়। বিনা মাইকে সেদিন পিনপতন নীরবতায় আমাকে বক্তৃতা করতে হয়। লাশসহ সবাইকে নিয়ে মিছিল করে আমরা ইকবাল হলের মাঠে চলে আসি। এখানে আজহার আলী মল্লিক বক্তৃতায় বললেন, ‘আমার ছেলে চলে গেছে দুঃখ নেই। তবে তার রক্ত যেন বৃথা না যায়।’ বিকাল ৩টার পর সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। মানুষ তা অমান্য করে বানের স্রোতের মতো নেমে আসে রাজপথে। এদিকে ২০ তারিখ আসাদের মৃত্যুর পর সংগ্রামে আসা ছাত্ররা পকেটে ঠিকানা নিয়ে আসত। এখনো ওই সংগ্রামের সাফল্য যেমন আনন্দ দেয়, মাথা উঁচু করে পথ চলতে প্রেরণা জোগায়, তেমনি মতিয়ুরের পকেটে পাওয়া চিরকুটের কথা মনে পড়লে বুক ভারী হয়ে আসে। মতিয়ুরের বুক পকেটে পাওয়া চিরকুট নিয়ে দেখলাম, লেখা আছে- ‘মা, তুমি মনে করো তোমার মতিয়ুর বাংলার মানুষ ও প্রিয় নেতা শেখ মুজিবের জন্য জীবন দিয়ে গেল। ইতি- মতিয়ুর রহমান, ১০ম শ্রেণি, পিতা আজহার উদ্দিন মালিক, নবকুমার ইন্সটিটিউট। ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনি, মতিঝিল।’ সান্ধ্য আইনের মধ্যে মতিয়ুরের লাশ তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলে যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় তা হৃদয় দিয়ে শুধু অনুভব করা যায়, ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। মতিয়ুরের মা আমাদের বলেছিলেন, ‘আমার সন্তানের রক্ত যেন বৃথা না যায়।’ ২০ জানুয়ারি শহীদ মিনারে আসাদের রক্ত ছুঁয়ে আমরা যে শপথ নিয়েছিলাম, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুরের রক্তে ওই সংগ্রাম বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। এদিকে ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান ঘটলে ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সান্ধ্য আইন বহাল থাকে। সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। চলবে...

এই বিভাগের আরও খবর
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
সর্বশেষ খবর
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বয়স্কদের সুষম খাদ্য
বয়স্কদের সুষম খাদ্য

৪৪ সেকেন্ড আগে | হেলথ কর্নার

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

২৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

৪০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

৪৭ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

৪৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়
কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা