শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারের টাকার কোনো অভাব নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের টাকার কোনো অভাব নেই

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সরকারের টাকার কোনো অভাব নেই। আমি আপনাদের বলছি, টাকা থাকার একটা বেঞ্চ মার্ক আছে। সেই বেঞ্চ মার্কের ওপর আমাদের এখন ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি রয়েছে। এটা তো লুকোচুরি করার কোনো ব্যাপার নয়।’ গতকাল সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জুবিদা খেরুস অ্যালাউয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অর্থের কোনো সংকট নেই। এই সংকটের কথা একটা নিউজপেপার বলেছে। এর বিপরীতে আমরা কিছু বলব না। আজকে আবার দেখলাম তারাই এডিবির একটা পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছে। এটা দেখে আবার অবাক হয়ে গেলাম।  তারা পজিটিভলি লিখেছে। কিন্তু আমি বলছি, আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা কোথাও কোনো ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পান, যদি এলসি সেটেলমেন্ট করতে না পারেন, যদি পেমেন্ট না করতে পারেন, তবে আমাকে এসে বলবেন। তাহলে এগুলো আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব।’ উল্টো প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সরকার কোথায় টাকা খুঁজছে? সরকার টাকা খুঁজলে কোথা থেকে পাবে? সরকারের টাকা না থাকলে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে? আপনারা কেউ সরকারকে টাকা দেবেন? টাকা তোলার রাস্তাটা কী? সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করতে হবে। না হলে আমেরিকা যা করে, কোয়ান্টিটি বেইজিংয়ের নাম করে টাকা ছাপাতে হবে। কিন্তু আমরা তো তা করছি না।’

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এগিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক : অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ড মার্কেট ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এ ছাড়া যেসব জায়গায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি, সেসব জায়গার উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে। বিশ্বব্যাংক আরও বেশি বেশি করে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এ জন্য আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেখানে আছি, সেখান থেকে আরও উন্নতি করতে অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে। এসব ক্ষেত্রেও বিশ্বব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে। আমাদের বন্ড মার্কেটটা টোটালি ডেভেলপ করা হয়নি। এ মার্কেটটার উন্নয়ন করতে হবে। এ মার্কেটে সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরই আসবে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন হলে শেয়ারবাজারেরও উন্নয়ন হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ শীর্ষে : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গত দশ বছরে সারা বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থান করছে। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছর অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছি। যার কারণে পৃথিবীর অর্থনীতির আঙিনায় এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ পৃথিবীর অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে চলছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর