বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি হবে সেবা খাতের হাত ধরেই। তবে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। সরকারের প্রক্ষেপণ হচ্ছে, এ অর্থবছর ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। সে হিসাবে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ১ শতাংশের ফারাক রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ঢাকা অফিসের সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমবন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব প্রমুখ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এর মধ্যে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছর হয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছর হয়েছিল ১৩ শতাংশ। তবে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হতে পারে ৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছর হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্যক্তি খাতের ভোগ বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ২ শতাংশে, যা গত অর্থবছর ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি ভোগ ব্যয় ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। রপ্তানি কমবে এবং আমদানি বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অনেক প্রশংসার। এ ক্ষেত্রে সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। ইতিবাচক উন্নতি যে হচ্ছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার। এ ছাড়া দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। গ্রামীণ অর্থনীতি ভালো করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নত করতে হবে। কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষাব্যবস্থা খুবই জরুরি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। দক্ষতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে প্রফেশনালসের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া টেকনিশিয়ান ও অ্যাসোসিয়েটস প্রফেশনালসের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ, ম্যানেজার ৬১ শতাংশ, সার্ভিস ওয়ার্কার ৩৭ শতাংশ, ক্লারিক্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার ৩৫ শতাংশ এবং কৃষি খাতে মাত্র ১ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে।
শিরোনাম
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা