শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এখন কী হবে খালেদার

আরাফাত মুন্না

এখন কী হবে খালেদার

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দন্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে বিভিন্ন মামলায় জামিন হওয়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে ছিলেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দিকে। এ মামলায় জামিন হলেই খালেদার মুক্তির পথ খুলবে বলে আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতেও জামিন না মেলায় খালেদা জিয়ার এখন কী হবে সে প্রশ্ন অনেকের। আইনজীবীরা বলছেন, সামনে আরও কিছু আইনি পথ খোলা থাকলেও সেগুলো সময়সাপেক্ষ। তবে প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিবেচনা করলে দ্রুতই মুক্তি পাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আইনজীবী জানান, আপিল বিভাগের এ আদেশের রিভিউ চেয়ে আবারও আপিল বিভাগে আবেদনের সুযোগ পাবেন খালেদা জিয়া। তবে এজন্য তাকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারা বলেন, একবার জামিন আবেদন খারিজ হলে পুনরায় হাই কোর্টে জামিন আবেদন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নজির নেই। ফলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবার হাই কোর্টে জামিন আবেদন করবেন কি-না, সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। আমি প্রথম থেকেই বলছি, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। এখন কোন প্রক্রিয়ায় এগোবেন জানতে চাইলে সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, আমরা আইনজীবী। আইনের বাইরে আমাদের কিছু করা সম্ভব নয়। আদালতে এখন আমাদের আপিল পেন্ডিং আছে। আমরা আশাবাদী, আইনি প্রক্রিয়ায় একদিন তাকে বের করে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন তার দ্রুত মুক্তির একমাত্র পথ প্যারোলে মুক্তি। আমি এক বছর আগেই প্যারোলের কথা বলেছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকেও তখন বলা হয়েছিল, প্যারোলের আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে তখনো বলা হলো, প্যারোল অর্থ হলো আত্মসমর্পণ করা। সেটিও তারা মানলেন না। ফলে দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় ম্যাডাম এখন মৃত্যুপথযাত্রী। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা আইনজীবী, আইনজীবী হিসেবে আইনগতভাবেই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। একবার খারিজ হলে আবার যাব। এটিই আইনজীবীদের কাজ। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান বলেন, সামনে রিভিউর সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে রিভিউ করা হবে কিনা, সে বিষয়টি সিনিয়র আইনজীবী প্যানেল বসে সিদ্ধান্ত নেবে। সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা থাকলেও ৩৫টিতেই তিনি জামিনে আছেন। তার মুক্তি পেতে জামিন পেতে হবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর