মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কেরানীগঞ্জে আগুন

উদ্বেগ কাটেনি ঢামেকে থাকা ৫ দগ্ধকে নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি থাকা ৫ দগ্ধকে নিয়ে স্বজনদের উদ্বেগ কাটেনি। তাদের মধ্যে কেউ-ই শঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকরা বলছেন, তারা শঙ্কামুক্ত নন। তবে ফিরোজ নামে একজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার ভেন্টিলেশন খুলে রাখা হয়েছে। তিনি এখন নিজে নিজে শ্বাস-নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। তারপরও তিনি শঙ্কামুক্ত নন। জানা গেছে, এ অবস্থায় গভীর উদ্বেগে রয়েছেন স্বজনরা। আইসিইউ থেকে চিকিৎসক বের হলেই তারা মনে করছেন- এই বুঝি কোনো খারাপ খবর এলো। এভাবেই কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। আইসিইউর সামনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা প্রিয় মানুষটির জন্য সময় সময় আহাজারি করছেন কারও মা, কারও ভাই এবং কারও বাবা।  উল্লেখ্য, দগ্ধ ৩২ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮ জন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন। ঘটনাস্থলেই একজন। ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ওই আগুনে দগ্ধ সবাইকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ওই রাতে ও পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১২ জন। সর্বশেষ রবিবার আরও চারজনের মৃত্যু হয়। এদিন ভোর সাড়ে ৬টায় মারা যান মুস্তাকিম, সকাল সাড়ে ৯টায় আবদুর রাজ্জাক, বেলা সাড়ে ১১টায় আবু সাঈদ এবং বিকালে মারা যান সুমন হাওলাদার। এদের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এখনো সাজু (১৯), ফিরোজ (৩৯), সোহান (২৫), মফিজ (৪৫) ও সোহাগ (১৯) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আরও ৮ জন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মোট ১৩ জন অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর