সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অক্টোবরের মধ্যে চার ব্যাংক আসছে পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা যে কোনো মূল্যে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে চাই। তাই আগামী অক্টোবরের মধ্যে আরও চারটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে। এ ছাড়া বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও বাড়ানো হবে।’ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল অর্থনৈতিক এলাকায় কোথাও কোনো খারাপ সংকেত দিচ্ছে না। কিন্তু আমাদের একটি খাত এখনো নেগেটিভ আছে। তবে একটি খাত দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি বিবেচনা করা যাবে না। প্রতিটি দেশেই সব খাত যে সমভাবে চলবে এমনটি নয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতির বিবেচনায় আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। একটি জায়গা নিয়ে সব সময় আমরা চিন্তাগ্রস্ত, তা হচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার হচ্ছে অর্থনীতির রিফ্লেকশন। অগ্রগতির যে ফান্ডামেন্টাল, সে ফান্ডামেন্টালের ওপর সব সময় অবস্থান করে পুঁজিবাজার। অর্থনীতির যে গতিশীলতা, এর সঙ্গে পুঁজিবাজার যায় না। পুঁজিবাজার এ রকম হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম। আমরা লক্ষ করলাম, বাজারে কিছুটা মিসম্যাচ রয়েছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ কম, যারা বিনিয়োগ করে নিজস্ব উদ্যোগে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কম হলে কিছু সময় বাজারে ভলাটিলিটি (বিশৃঙ্খল) বেশি থাকে। এ কারণে বাজার কমে গেলে খারাপ ইঙ্গিত বহন করে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি যেসব ব্যাংক রয়েছে, এর মধ্যে একটির শেয়ার বাড়ানোসহ পাঁচটি ব্যাংক আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। ইতিমধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করব। পাশাপাশি আমরা নতুনভাবে পুঁজিবাজারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) নিয়ে আসব। এরপর অগ্রণী, জনতা এবং সর্বশেষ আমরা সোনালী ব্যাংককে নিয়ে আসব। আমরা এ বিষয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। কমিটিতে পাঁচটি ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকবে এবং এটিকে দেখাশোনা করবে আইসিবি। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এসব ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। তারাই সরকারকে টাকা দিচ্ছে। তাই এখন আর রিফাইন্যান্সিংয়ের দরকার পড়ছে না। প্রতিটি ব্যাংকই লাভজনক। আমরা এ মুহূর্তে অবকাঠামো খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি। আমরা এখন অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে চাই। অর্থনীতি যেখানে ওঠানামা করে, সেগুলোতে আমরা হাত দেব। এ জন্য আমাদের ব্যাংক-বীমা খাত দেখতে হবে। এগুলো ঠিক করতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো দূর করা হচ্ছে। আইনি কাঠামোতে সমস্যাগুলো দূর করছি। আমরা ইতিমধ্যে পাওয়ার সেক্টর থেকে লাভজনক সাতটি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাতটির মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে আনা হবে। বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর