শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

গণস্বাস্থ্যের কিট মিলবে এপ্রিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণস্বাস্থ্যের কিট মিলবে এপ্রিলে

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) পেতে বিলম্ব হলেও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানবদেহে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনা সরকারের কাছে জমা দেওয়ার প্রত্যাশা করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ইংল্যান্ড থেকে কাঁচামাল আসতে শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে কিছু কাঁচামাল হাতে পেয়েছি। কাজও শুরু করেছি। এখন আমাদের দেশীয় কিছু সরঞ্জাম পেতে কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে প্রায় ১০ লাখ বোতল লাগবে। এখন সব কিছুই বন্ধ। তার পরও আমরা আশাবাদী সবকিছু সমন্বয় করে এপ্রিলের মাঝামাঝি আমরা সরকারকে কিট উপহার দিতে পারব।

গতকাল সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের  এই প্রতিষ্ঠাতা। করোনাভাইরাস শনাক্তের সহজ ও সুলভ মূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি তিন সপ্তাহ আগে করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিট তৈরির বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সুলভ মূল্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণের যে কিট আমরা উদ্ভাবন করেছি, তার কাজ চলছে। কাজের গতিও বেড়েছে। আমরা হোপফুল স্টেজে আছি। আশা করি, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তাদের কাছে কিটের স্যাম্পল জমা দিতে পারব। এরপর সরকারের অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই আমরা উৎপাদিত কিট বাজারে দিতে পারব। গণস্বাস্থ্যের কিট উৎপাদনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু এখন বন্ধ। সেজন্য একটু দেরি হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে যে অর্ডার আমরা দিয়েছি তা এখনো আসেনি। এর বাইরে আমরা বিকল্প সোর্স থেকেও মালামাল আনছি। একই রি-এজেন্ট চীনও দিতে সম্মত হয়েছে, আমাদেরকে কাঁচামাল কিছু দিয়েছেও। চীনের মালামাল দিয়েই আমরা কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা আজকে মালামালগুলো বিমানে ওঠাবে। আশা করছি, রবি-সোমবারের মধ্যে আমরা সেগুলো পেয়ে যাব। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের যে কিট আছে তার মূল্য অনেক বেশি। প্রায় ১০/১৫ হাজার টাকা লাগে। কোনো প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের পক্ষে এই মূল্যের কিট দিয়ে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আমরা অত্যন্ত সুলভ মূল্যে কিট দিতে পারব, যেটা দিয়ে লাখ লাখ মানুষ পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাবেন। সারা পৃথিবী আমাদের এ রকম সুলভ মূল্যে কিট উদ্ভাবনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা এত ব্যস্ত আছি যে, জবাবও দিতে পারছি না। আমরা খুবই আশাবাদী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, দেশের অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে আমরা মনে করি প্রান্তিক মানুষের পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা একটা চেষ্টা করছি ১০ লাখ পরিবারকে যাতে এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। তিনি বলেন, আমরাও অর্থ সংকটে আছি। আমার ধানমন্ডির বাড়িটি বন্ধক রেখে ব্যাংকের কাছে ঋণ নিতে চাই। তারাও নানা কাগজপত্র চায়। এগুলো দিতে দিতে আমি দিশাহারা। তার পরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সরকার আমাকে সহজলভ্যে ঋণ দিতে পারে। আমি সময় মতো সব পরিশোধ করে দেব। নইলে আমার বাড়িটিই বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর