সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন আনতে চীন যুক্তরাষ্ট্র লড়াই

প্রতিদিন ডেস্ক

চীন বলেছে, তারা সবার আগে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন বাজারজাত করার আগেই চীনের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

গতকাল ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ভাইরাসে ৬০ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন এবং বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে- তার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে প্রথম হতে চাইছে চীন। চীন বলেছে, তারা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এ বছরেই বাজারে ছাড়তে পারে। দেশটির একটি সরকারি সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে, এ বছরের শেষনাগাদ কভিড-১৯ ঠেকাতে একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে। 

চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অ্যাসেটস সুপারভিশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশন (এসএএসএসি) সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেছে, ২০২০ সালের শেষের দিক থেকে রাষ্ট্র অনুমোদিত দুটি সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে। চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এই দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, উহান ইনস্টিটিউট অব বয়োলজিক্যাল  প্রোডাক্টস ও বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস। রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে এবং দুই হাজার ব্যক্তিকে ভ্যাকসিনও দিয়েছে। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত চীনের ৫টি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, যা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। খবরে বলা হয়, চীনের উহান থেকে উৎপন্ন হওয়া ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দেশটির স্বাস্থ্য সংস্থা, নিয়ন্ত্রক, গবেষক দল থেকে শুরু করে ছোট ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত দলগতভাবে অতিরিক্ত সময় পরিশ্রম করে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। থাই ভ্যাকসিনেও সাফল্য : থাইল্যান্ড আশাতীত সাফল্য দেখাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টাতে। প্রথম ধাপে ইঁদুরের দেহে পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসার পর এরইমধ্যে বানরের শরীরে করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছেন থাই বিজ্ঞানীরা। দেশটির ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট, দ্য ডিপার্টমেন্ট অব  মেডিক্যাল সায়েন্স এবং চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথ প্রচেষ্টায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। সূত্র: রয়টার্স। গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী সুভিত মায়েসিনসি বলেন, গবেষকরা ভ্যাকসিনটি এখন বানরের দেহে পরীক্ষা করছেন। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর কার্যকারিতার বিষয়ে একটি ‘পরিষ্কার ফল’ পাওয়া যাবে। তিনি জানান, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ  কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের জন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ভাইরাসের আরএনএ ব্যবহার করে থাই বিজ্ঞানীদেও তৈরিকৃত এই ভ্যাকসিনটি দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

সর্বশেষ খবর