সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাবমূর্তি রক্ষায় তিন স্তরের উদ্যোগ নিতে হবে

জুলকার নাইন

ভাবমূর্তি রক্ষায় তিন স্তরের উদ্যোগ নিতে হবে

হুমায়ুন কবির

করোনাভাইরাসের ভুয়া সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ যে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে তা পুনরুদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির। তার মতে, সময় নষ্ট না করে অব্যবস্থাপনাগুলো শোধরাতে হবে। এ জন্য তিন স্তরের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রতারকদের দৃশ্যমান শাস্তি, দায়িত্বশীলদের যথাযথ বিচার ও বিদেশ যাত্রীদের ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা হুমায়ুন কবির বলেন, যারা কভিড-১৯ এর টেস্ট করছে এবং রিপোর্ট দিচ্ছে বা চিকিৎসা করছে তাদের সার্বিক বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতরের। তারা ঠিকমতো দেখভাল করতে পারছে কিনা তা নিয়ে সরকারকে সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ অস্বীকারের উপায় নেই যে, ইতিমধ্যেই ভুয়া সার্টিফিকেটের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তির যেসব সুযোগ আছে তা নীতিগতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যেহেতু আমাদের জনশক্তি রপ্তানি করতেই হবে সেহেতু স্বাস্থ্যবিষয়ক এই অব্যবস্থাপনার দিকে আমাদের মনোযোগী হতেই হবে। এখন কয়েকটি বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রথমত, যে বা যারা এসব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা কোনোভাবে আংশিক হলে হবে না। আইনি প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যারা বিদেশে যাচ্ছেন তারা যেন এ ধরনের ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে না যান সে বিষয়ে তাদেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ব্যক্তি পর্যায়ে একেবারে দায়িত্বহীন আচরণও যে দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর তা বুঝতে হবে। যারা যাচ্ছেন তারাও যেন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিদেশে না যান সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ করে দিলেন তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ কেউ করতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। হুমায়ুন কবির বলেন, এই ব্যবস্থাগুলো যদি আমরা নিতে পারি, নেওয়ার পরে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এবং বাংলাদেশে থাকা বিদেশি বন্ধুদের মাধ্যমে পদক্ষেপগুলো জোরালোভাবে জানাতে হবে। বলতে হবে, আমরা দায়ীদের শাস্তি দিয়েছি এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বিদেশি বন্ধু ও রাষ্ট্রগুলোকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, বাংলাদেশ কভিড-১৯ কে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সবার নিরাপদে থাকা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর