সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম

ঘুরতে গিয়েছিলেন মামুনুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের ওপর হামলা, হেনস্তা এবং পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ‘প্রতিবাদ সভা’ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মাওলানা মামুনুল। উপস্থিত না হওয়ার কারণ হিসেবে হেফাজত নেতারা রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম উল্লেখ করেছেন। তবে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর এড়িয়ে গেছেন হেফাজত নেতারা। গতকাল বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ প্রতিবাদ সভা করেন হেফাজত নেতা-কর্মীরা। গত শনিবার সোনারগাঁয়ে ‘মামুনুল হকের ওপর সরকারদলীয় অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের হামলা’কে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে দাবি করেছেন তারা। এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী ইয়াকুব, কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস হামেদী, আনোয়ার হোসেন গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  সভায় সংগঠনটির সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজী বলেন, মামুনুল হক সম্পূর্ণ শরিয়াহ মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তার কাছে তথ্য-উপাত্ত চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদের হেনস্তা করার অধিকার কারও নেই। তিনি বলেন, একজন সতী-সাধ্বী নারীর ওপর অপবাদ আনা হচ্ছে। এ জন্য আল্লাহর গজব পড়বে। কী করে জাতীয় সংসদে এক নারীর চরিত্র নিয়ে এভাবে কথা বলা হয়? একজন নারীর চরিত্রে কলঙ্ক লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা যদি চাইতাম ঢাকায় আজ কমপক্ষে ৫ লাখ লোকের জমায়েত হতো। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কেউ যদি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তার গদি টিকবে না বলে দাবি করেন তিনি।

প্রতিবাদ সভা হলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা সাখাওয়াত হোসেন রাজীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে এসবের পাশ কাটিয়ে যান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কথোপকথন মাওলানা মামুনুল হকের কি না এবং সঙ্গে থাকা নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও সেখানে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছিল কি না এমন কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি। তবে তার দাবি ছিল, আমরা জানি এগুলো কাটছাঁট করা যায়। এগুলো আইনবিরোধী। এ জন্য আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেব। মামুনুল হক সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্ট থেকে বের হয়ে তার স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়েছিলেন কি না- এ প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি তিনি।

কয়েকজন সাংবাদিক মামুনুল হক কোথায় ও কবে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন- এমন প্রশ্ন করলে মাওলানা সাখাওয়াত বলেন, বিষয়টি মামুনুল হকের ব্যক্তিগত। এসবের উত্তর তিনি নিজেই দেবেন। মামুনুল হকের বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটি করা হবে কি না, জানতে চাইল রাজী কোনো উত্তর দেননি। তবে তিনি বলেন, আমরা নারীর সম্মানে বিশ্বাসী। একজন নারীর ওপর অপবাদ আনা হচ্ছে।

তার এমন বক্তব্যের সূত্র ধরে সাংবাদিকরা জানতে চান, হেফাজতের হরতালে কেন নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। উত্তরে রাজী বলেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘটনা আমরা ঘটাইনি।

  

মামুনুল হককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সহকারী মহাসচিব রাজী বলেন, মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া। আমরা আশা করব, তিনি তার ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর