শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মুভমেন্ট পাস পেতে ১৬ কোটি হিট

যাদের লাগবে না পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশব্যাপী ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন চলছে। চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এ বিধিনিষেধ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বেরোতে নিরুৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে একান্ত প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’-এর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এ মুভমেন্ট পাস পেতে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ২৪৩ বার হিট বা নক করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে হিট হয়েছে ৮ হাজার ৭৬৩টি।

পুলিশ সদর দফতরসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ১৩ এপ্রিল কঠোর লকডাউন শুরুর আগের দিন সকালে মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গত ৪৬ ঘণ্টায় ওয়েবসাইটে                ঢুকে মুভমেন্ট পাসের জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ লাখ ৯ হাজার ৪৯৪ জন। আর পুলিশ পাস ইস্যু করেছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০টি। মুভমেন্ট পাসের জন্য www.movementpass.police.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এদিকে লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল, ব্যাংক, শিল্পকারখানাসহ জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রয়েছে। লকডাউন চলাকালে যারা একান্ত প্রয়োজনে বাইরে যাবেন তাদের পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে বেরোতে হবে। কিন্তু যারা জরুরি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাদের জন্য এ পাসের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের পরিচয়পত্র দেখাত হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, যাদের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার প্রয়োজন নেই তারা হলেন চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল স্টাফ, কভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ; ব্যাংকার ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ; সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান; টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী; বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী; জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী; অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা; শিল্পকারখানা/গার্মেন্ট উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য; ফায়ার সার্ভিস; ডাকসেবা; বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা এবং বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা। পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) হায়দার আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন, যারা জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই মুভমেন্ট পাস ছাড়া চলাচল করতে পরবেন। তবে তাদেরও যে কোনো একটা ডকুমেন্ট বা পরিচয়পত্র দেখাতে হবে যাতে বোঝা যায় তারা জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত। কেউ হয়তো জরুরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিন্তু অন্য কাজে বের হয়েছেন, কাজেই তাকেও পরিচয়পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে। কেউ যদি পরিচয়পত্র বা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারেন তাহলে আমরা কীভাবে বুঝব তিনি জরুরি পেশায় নিয়োজিত? যেমন চিকিৎসকদের অনেকের পরিচয়পত্র নেই। সে ক্ষেত্রে তারা হাসপাতাল থেকে একটি পেপার নিয়ে রাখবেন এবং তা আমাদের দেখাবেন। গণমাধ্যমকর্মীদেরও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। পরিচয়পত্র দেখানোর পরও অনেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হওয়ার কথা নয়। তার পরও যদি কোনো জায়গায় ব্যত্যয়ের ঘটনা আমরা জানতে পারি সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধান করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর