শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

১০ হাজার কোটির থোক বরাদ্দের হিসাব প্রকাশ হওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ হাজার কোটির থোক বরাদ্দের হিসাব প্রকাশ হওয়া উচিত

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড.  হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়। এই টাকা  কোথায় খরচ করা হয়েছে তার হিসাব জানা দরকার। সরকারের নিজের জন্যই সেই হিসাব দরকার। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টিতে শিরোনামে বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এবারের বাজেটেও যে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেটি করোনা টিকা, নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক খাতে ব্যয় করা উচিত। একই সঙ্গে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ-এটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকারের কাছে বরাদ্দের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাজেটকে তিনটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করতে হবে। কোথায় কেমন বরাদ্দ দেওয়া হলো, কোন কাজগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হলো এবং বাস্তবতার প্রতিফলন। এবারের বাজেটে এই তিনটি জিনিস একে অপরের সঙ্গে অসামঞ্জস্য। যেমন দেশের জিডিপির ৫৫ শতাংশই জোগান দেয় অভ্যন্তরীণ সেবা খাত। অর্থাৎ এই যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা উদ্যোগগুলো। কিন্তু সেই খাতেই বরাদ্দ কম। বাংলাদেশের মানুষকে বলা হয় ‘রিজিলিয়েন্ট’ অর্থাৎ যারা আঘাত সহ্য করতে পারে এবং ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু বাজেটের বাস্তবতা যদি এমন হয় যে, এই রিজিলিয়েন্ট জনগণকে না দিয়ে বরাদ্দ হচ্ছে অন্য খাতে, সেটি কাক্সিক্ষত বাজেট নয়। তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রম বা এডিপি পর্যালোচনা করলে দেখবেন যে, যাদের বরাদ্দের হার ঊর্ধ্বমুখী তাদের এডিপি বাস্তবায়নের হার নিম্নমুখী। তাই করোনাকালে মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যে বাজেট বরাদ্দ দরকার সেই খাতে বরাদ্দ দিতে হবে। তা সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর