বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
বিএনপির অভিযোগ

লকডাউনের মধ্যেও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারী চলাকালে লকডাউনের মধ্যেও সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘লিপ সার্ভিস’ দেওয়া মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। অথচ খালেদা জিয়া এখনো মুক্ত নন। তিনি কার্যত কারাবন্দী। বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে তাঁর সুচিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা       হয়েছে। জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে জনগণের পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত রাখা যাবে না। ময়মনসিংহ, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, করোনা মহামারীতে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা আর জেল-জুলুমের হুমকি দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টা করছে সরকার। জনগণকে রক্ষা না করে দিনভর অসত্য বয়ান দিয়ে যাচ্ছেন মন্ত্রীরা। মানুষের চরম দুঃসময়ে বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণেই খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগে ভিড়তে চাইছেন’- আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের এমন কথার জবাবে প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগই এখন ‘ডুবন্ত জাহাজে’ পরিণত হয়েছে। কাজেই ওবায়দুল কাদের নিজেই এখন ডুবন্ত জাহাজের যাত্রী। লকডাউন চলাকালে সংকটে পড়া মানুষদেরও বিএনপির পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এ লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মুন্সীগঞ্জের উত্তর মুক্তারপুরের দিনমজুর দীন ইসলাম ক্ষুধার তাড়নায় আত্মহত্যা করেছেন। অথচ সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা হামেশাই বলে যাচ্ছেন তারা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন, কেউ না খেয়ে নেই। কেউ না খেয়ে মারা যাবে না ইত্যাদি।

স্থানীয় বিএনপি সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল দীন ইসলামের বাড়ি গিয়ে আর্থিক সহায়তা দেয় বলে জানান প্রিন্স। এ সময় দলীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর