বাংলাদেশের জন্য নতুন করে সংশোধিত জিএসপি প্রস্তুত করে ফেলেছে ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ২২ সেপ্টেম্বর ইউরোপের বাজারের নতুন জিএসপির এই ঘোষণা আসতে পারে। পর্যালোচনার জন্য এবারের জিএসপিতে শর্ত হিসেবে নতুন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষা ও সুশাসন ইস্যু। শুরুতে শুধু শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়গুলো পর্যালোচনায় রেখেছিল ইইউ। পরে মানবাধিকারকে সংযুক্ত করা হয় জিএসপির সঙ্গে। সম্প্রতি এক সেমিনারে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের প্রায় সব দিক নিয়ে কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক। এতে তিনি বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও গুরুত্বের দিকে বিশেষভাবে জোর দেন। এর সঙ্গে অনেক বিষয়ই সম্পর্কিত উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বেশ কিছু এজেন্ডা নিয়ে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে। এতে ভষ্যিৎ সম্পর্কের অনেক দিক নির্দেশনা থাকবে। ইইউ রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান জিএসপি সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে শেষ হবে। তবে নতুন জিএসপির জন্য এতদিন ধরেই কাজ চলেছে। সেটা এখন আক্ষরিক অর্থে প্রস্তুতও হয়ে গেছে। ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা হতে পারে। তিনি বলেন, নতুন এই জিএসপি কাঠামোর আলোচনায় অবশ্যই স্টান্ডার্ড জিএসপি, জিএসপি প্লাস ও ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) এর কথা ভাবা হয়েছে। এই তিন কাঠামোর ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। এসব শর্ত পর্যালোচনার পর পজিটিভ নেগেটিভ দুই ধরনের বিষয়ই আসে। শুধু জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে শর্তগুলো একেবারেই নির্ধারিত থাকে। ইতিমধ্যেই এর নেগেটিভ প্রভাবও দেখা গেছে। শর্তের স্টান্ডার্ড পূরণ না হওয়ায় শুধু জিএসপি সুবিধা নয় ইবিএ সুবিধা প্রত্যাহারের ঘটনাও আছে, কম্বোডিয়া এর উদাহরণ। এটা সাধারণত মারাত্মক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শর্ত ভঙ্গের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, চলমান জিএসপিতে শুধু মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার কনভেনশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন শর্ত হিসেবে পরিবেশ সুরক্ষা ও সুশাসনও রাখা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো বলে উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আরও অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে এটি সংযুক্ত হবে। তিনি বলেন, পুনঃ আবেদনের সময় তিন বছর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে পর্যালোচনার সময় আছে দুই বছর। এটাকে বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, গ্র্যাজুয়েশনের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে মানলে জিএসপি প্লাস উত্তীর্ণের জন্য অনেকাংশেই এগিয়ে যেতে পারবে। জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে অস্ত্র ব্যতীত সব পণ্যে ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)’ কাঠামোর অধীনে ইইউর ২৮ দেশে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কয়েকদফায় জিএসপি পর্যালোচনা করা হয়েছে। জিএসপির সুযোগে বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ রপ্তানির গন্তব্য ৫০ কোটি ক্রেতার বাজার ইইউ।
শিরোনাম
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- নবীনগরে কার্যত্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
- একযুগের বেশি পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কর্মবিরতি
- আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- বিইউবিটিতে ‘জব হান্টিং ২.০’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি : আনোয়ারুল
- ‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’
- সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা
- ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
- কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
- বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা