শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের ৪৭তম বার্ষিকী

ই-পোস্টার প্রকাশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের ৪৭তম বার্ষিকী

দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলেও জাতিসংঘের সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল অনেক বাধা। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোতে বাংলাদেশের সদস্য পদ পাওয়া আটকে যাচ্ছিল। সেসব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ পায় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের বিতর্কে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ পরিষদের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এরপর তুমুল করতালির মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন তিনি বিশ্বসম্প্রদায়ের সামনে ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলায়। বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাষ্ট্রনায়ক, যিনি জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। আজ শনিবার জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর সেই ১৯৭৪ সালের ভাষণ প্রদানের ৪৭তম বার্ষিকী। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি একটি ই-পোস্টার প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধু ভাষায় সেই হিরন্ময় ভাষণে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মদানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে, কেবল তাহাদেরই এই দৃঢ়তা ও মনোবল রহিয়াছে, মনে রাখিবেন সভাপতি, আমার বাঙালি জাতি চরম দুঃখ ভোগ করিতে পারে, কিন্তু মরিবে না, টিকিয়া থাকিবার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমার জনগণের দৃঢ়তাই আমাদের প্রধান শক্তি।’ ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটি ছিল সমগ্র বিশ্বের অধিকারবঞ্চিত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বশান্তি, ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ২৫ সেপ্টেম্বরকে ২০২১ সালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টানা তৃতীয় বছরের মতো বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি স্টেট সিনেটর স্টেভেস্কি এ সংক্রান্ত বিলটি নিউইয়র্ক স্টেটের আইন পরিষদে উত্থাপন করেন। ২৬ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে বিলটি পাস হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর