সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়া মুক্ত সরকারের কাস্টডিতে নেই : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটি শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। উনি সরকারের কাস্টডিতে নেই। মুক্ত বলে তিনি বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন। ওনার (খালেদা জিয়া) বাসাকে সাব-জেল করা হয়নি। ওনাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) সরকারের কাস্টডিতে রয়েছে বলে বিএনপির দাবি সঠিক নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের সমাপনী দিনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর বিরোধী দলের আনা প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। পরে বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এর আগে বিএনপির এমপিরা অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব-জেল বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া সরকারের দায়িত্বেই আছেন। তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ছিলেন। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, ওনারা (বিএনপি এমপিরা) কেবল বলেন, সাব-জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওনার বাসাটাকে কোনো জেলই বানানো হয়নি। ওনাদের (বিএনপির) তথ্যে এতই বিভ্রাট তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে তো তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দন্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে (বেগম জিয়াকে) ৬ মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটি শর্ত যুক্ত ছিল, সেটি এখনো আছে। আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় যাকে মুক্তি দেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কথা আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। আমরা সেখানে শর্ত দিয়েছি, বলেছি, উনি বিদেশ যেতে পারবেন না, বাংলাদেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। উনি অবশ্যই মুক্ত। উনি দেশে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন, ওনাদের নেত্রী কাস্টডিতে। উনি কাস্টডিতে নেই, সি ইজ ফ্রি অ্যান্ড সি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকোর্ডিং টু হার হুইল। আমি বলেছি, একটা বিষয় সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এটা চাইলে ওনাকে অরিজিনাল প্রিজনে যেতে হবে। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে।

শিগগির ইসি গঠনের আইন : জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু ও বিএনপির হারুনুর রশিদ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবির জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আইন সংসদে শিগগিরই আনা হবে। তবে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আনিসুল হক বলেন, বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন দুটি আইনেরই খসড়া করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর