রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
নিশ্চিত করলেন মেয়ে সামীরা

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু দাফন ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু দাফন ঢাকায়

গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন এক সময়ের দাপুটে ও আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিক হারিছ চৌধুরী। তার কন্যা সামীরা তানজীন চৌধুরী (মুন্নু) এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। হারিছ চৌধুরীকে ঢাকার কাছে একটি গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। কিছু নিকটজন অনেকটা গোপনে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় শরিক হন বলেও জানান তার কন্যা। বেশ কিছুদিন ধরে হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর ইঙ্গিত করলেও সরাসরি কিছু বলেননি। তখন থেকে বিষয়টি আলোচনায়। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন। ফলে কয়েক দিন ধরে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়।

সামীরা বলেন, হারিছ চৌধুরীর আত্মগোপনকালে তার পরিবারের সঙ্গে খুব সামান্যই যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাবা চাইতেন যা হয় তার ওপর দিয়ে যাক। সন্তান হিসেবে আমাদের, আত্মীয়-স্বজন এমনকি তিনি যে রাজনীতি করতেন সেই রাজনৈতিক নেতৃত্বও যাতে তার কারণে কোনো বিপদে না পড়ে সে জন্য কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতেন না। মাঝে মধ্যে তিনি ফোনে সবার খোঁজ নিতেন। সর্বশেষ তিনি যখন আমাকে কাছে চাইলেন, তখন সব শেষ।’ সামীরা বলেন, আমি কয়েক ঘণ্টার নোটিসে সব ছেড়ে ২৭ আগস্ট ঢাকা পৌঁছাই। ততক্ষণে তিনি লাইফ সাপোর্টে চলে  গেছেন। করোনা থেকে নিউমোনিয়া হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। বাঁচাতে পারলাম না বাবাকে। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক মুহূর্ত তাকে চোখের আড়াল করতে চাইনি। সব সময় তার পাশে বসেছিলাম। ভয় আর শঙ্কা আমাদের সব তছনছ করে দিল’।

লন্ডনে মারা গেছেন বলে আশিক চৌধুরীর মন্তব্য প্রসঙ্গে সামীরা বলেন, ‘হয়তো কোনো চাপে বা পরিস্থিতির কারণে তিনি এমনটা বলে থাকতে পারেন। যে কারণে তিনি বলেছিলেন সিলেটে দাফন করা নিরাপদ হবে না। আমার সঙ্গে এ বিষয়ে তার কোনো কথা হয়নি। আমার বাবার মতো একজন বিশাল ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হোক সেটা সন্তান হিসেবে আমার কাম্য হতে পারে না।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর