পদ্মায় চলন্ত ফেরিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ফেরির কেবিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল ভোর সোয়া ৫টায় শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি চ্যানেলে ফেরি ‘বেগম রোকেয়া’ প্রবেশ করতেই আগুন লাগে। এর আগে ভোর পৌনে ৫টায় ফেরিটি মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে মঙ্গলমাঝির ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ফেরিটি শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি চ্যানেলে প্রবেশ করতেই আগুন চোখে পড়ে। ফেরির পাম্প কাজে লাগিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় কোনো হতাহত হয়নি। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফেরির চালক দ্রুত চালিয়ে নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে ভিড়িয়ে যানবাহন নামিয়ে দেন। এ ব্যাপারে ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস বলেন, ক্যান্টিনের পাশে কেবিনের ওপরের সিটে আগুন লাগে। এতে ফেরির কেবিনটির বিছানা, সিলিং দরজা ও কেবিনের বাইরের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার সময় কেবিনে কেউ ছিল না। দরজা খুলতেই আগুন বাইরে চলে আসে। শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডবিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, চলন্ত বেগম রোকেয়া ফেরির একটি তালাবদ্ধ কেবিন থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে ফেরিতে থাকা পাম্প ও আগুন নেভানোর মেশিনের সাহায্যে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফেরিটি মাঝিকান্দি ঘাটে গিয়ে আনলোড করেছে। ওই ফেরিতে ৩৬টি যান এবং বেশকিছু যাত্রী ছিল। সবাই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক রয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানতে ঢাকা থেকে ডিজিএম বাপ্পি মজুমদার তদন্ত করেন। তিনি আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করে দেখবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, প্রতিদিনের মতো যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ফেরি বেগম রোকেয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিকান্দি যাচ্ছিল। মাঝিকান্দি চ্যানেলে প্রবেশের পর ফেরির একটি কক্ষে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- শর্ট সার্কিট অথবা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলেও তিনি জানান।