কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে এক যুবকের হাত-মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্প থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মোহাম্মদ সমিন (৩০) ৪ নম্বর ক্যাম্পের মধুরছড়া সি ব্লকে বসবাসকারী রোহিঙ্গা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে আজিম উল্লাহ নামে রোহিঙ্গা নেতা হত্যা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা সমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এপিবিএনকে খবর দেয়। তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ক্যাম্পে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রোহিঙ্গা নেতা হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার : এদিকে উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা (মাঝি) আজিম উল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩, ৪ ও ৫ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। শুক্রবার (১০ জুন) রাতে ক্যাম্প ১৬ ও ১৯ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ৮ এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন। গ্রেফতার আসামিরা হলো- ক্যাম্প ১৯, ব্লক এ/৮ এর মৃত মো. সেলিমের পুত্র মো. হাসিম (৪০), ক্যাম্প ১৬, ব্লক সি/৬ এর আবদুল হাকিমের পুত্র মো. জাবের (৩২) ও মৃত আবুল কাছিমের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৪০)। ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৮ এর বি-ব্লকের সাব-ব্লক এম/৯ এ রাতের বেলায় ভলান্টিয়ারদের ডিউটি বণ্টনের সময় ২০-২৫ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রোহিঙ্গা মাঝি আজিমউদ্দিন, সাব মাঝি সৈয়দ করিম এবং রহিমুল্লাহ গুরুতর আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষণিক ক্যাম্পের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আজিমউদ্দিনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী সনজিদা বাদী হয়ে ১৫ জনকে নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।