পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার পৃথক ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। ওই ব্যক্তি হলেন মাহাদি হাসান। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী। বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে একই ধরনের ঘটনায় বায়েজিদ তালহা (৩১) নামে এক যুবক পুলিশে গ্রেফতার হন। তার নামে পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সোমবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২৬ জুন সকালে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়। এদিন বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে মাওয়া যান মাহাদি। বিকাল ৩টার দিকে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলেন তিনি। ভিডিওচিত্র ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওতে মাহাদি দাবি করেন, তিনি হাত দিয়ে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, মাহাদি পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার ক্ষেত্রে রেঞ্জ ব্যবহার করেন। পুলিশ সেই রেঞ্জ জব্দ করেছে।
মাহাদিকে গ্রেফতারের পর তার বন্ধুদেরও খোঁজ চলছে। ঢাকার তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন মাহাদি। এরপর রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। মাহাদি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
