দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি জানান, কয়লা খনির পরিত্যক্ত থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজের জন্য গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে টানা দুই মাস ২৭ দিন পর বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফলে কয়লা সংকটে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা কাটিয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সব প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে প্রায় সপ্তাহ খানেক লাগতে পারে। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আশা করছি পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হলে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। খনি সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষে সেটি পরিত্যক্ত  ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পরিত্যক্ত থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষে আগস্টের মাঝামাঝি নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত হওয়ার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেই সময় কয়লার মজুদ ছিল ৩৬ হাজার টন।

কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ফলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অধিক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে।