শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

ধুলায় ধূসর আকাশ, শব্দে স্তব্ধ কান, শহরজুড়ে বর্জ্য, যানজটে নাভিশ্বাস, গণপরিবহন সংকট, আবাসিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বেহাল অলিগলি, ফুটপাত দখল, মশার উৎপাত, পানি সংকট, নেই খেলার মাঠ, গণশৌচাগারের অভাব, পার্কিং সংকট, জলাবদ্ধতা
শামীম আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

রাজধানীবাসীর কপাল থেকে দুর্ভোগের দিন কাটছেই না। দফায় দফায় মিটিং, উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রেস ব্রিফিং আর আশ্বাসেই আটকে আছে এ শহরের টেকসই উন্নয়ন। গণপরিবহন সংকট, ভয়াবহ যানজট, মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যত্রতত্র আবর্জনা, বিশুদ্ধ পানির সংকট, মশার উৎপাত, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। নাগরিক সুবিধা দিতে অপারগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। উল্টো এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় বছরজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বাড়ছে দুর্ভোগ। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই এখন ঢাকা ছাড়ার সুযোগ খুঁজছেন। আবার সংকটের মধ্যেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কাজের খোঁজে ভিড় করছেন রাজধানীতে।

নগরবিদরা বলছেন, একটি নিরাপদ, স্মার্ট ও সবুজ ঢাকা উপহার দিতে উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজও শুরু করেছিলেন। গণপরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এনে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ছয়টি বাস কোম্পানির অধীনে ৪ হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বাস মালিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে গুছিয়ে এনেছিলেন সবকিছু। কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র যানজটমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্র বাড়াতে হাতিরঝিলের মতো আরও তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। যানজট নিরসনে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা এবং মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ইউটার্ন প্রকল্প নেন। ঢাকার নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ২৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছিলেন। এসব প্রকল্পে স্থায়ী বাসস্থান পেত অবহেলিত মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড অবৈধ দখলমুক্ত করেন। এ ছাড়া নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়া, নগরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো, গুলশান-বনানী থেকে পুরনো বাস সরিয়ে ‘ঢাকা চাকা’ নামে নতুন এসি বাস সার্ভিস চালু, ‘সবুজ ঢাকা’ নামে বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচিসহ অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল মানুষ পাচ্ছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর অধিকাংশ পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি।

বাসযোগ্যতার তলানিতে : চলতি বছর প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১৭২ শহরের মধ্যে বাসযোগ্যতায় ঢাকার স্থান ১৬৬তম। বাসযোগ্যতা বোঝার জন্য স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো- এ পাঁচ মানদণ্ডে বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। পাঁচ সূচকের মধ্যে ঢাকা সবচেয়ে কম ২৬.৮ স্কোর পেয়েছে অবকাঠামোয়, এ সূচকে ঢাকার চেয়ে খারাপ দশায় আর কোনো শহর নেই।

ধুলার শহর : বায়ুদূষণে বছরের অধিকাংশ সময় ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে থাকছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে রাজধানীর ২৪.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফুসফুসের সক্ষমতা কমেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ধুলায় ধূসর প্রতিটি নির্মাণ এলাকা। ধুলা উড়িয়ে চলছে যানবাহন। শহরজুড়ে ট্রাকে-পিকআপে উন্মুক্তভাবে বহন করা হচ্ছে বালু, পাথর, সিমেন্ট। মারাত্মক ধুলাদূষণে পড়ছে এসব ট্রাকের পেছনে থাকা অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা।

শব্দদূষণ : চলতি বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শিকার ঢাকার বাসিন্দারা। ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডিবি, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে গাড়ির হর্নকে দায়ী করা হয় প্রতিবেদনে। নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হাসপাতাল এলাকায়ও উচ্চ শব্দে বাজছে হর্ন। ধানমন্ডির বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে ১৭ স্থানে জরিপ চালিয়ে সব জায়গায়ই ৮১ ডেসিবেলের বেশি শব্দদূষণ পেয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। অথচ আবাসিক এলাকায়ই অনুমতিযোগ্য শব্দের মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল ও বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতালের আশপাশে হর্ন বাজানোই নিষিদ্ধ। আইনে শব্দদূষণ নিষিদ্ধ হলেও আমদানি হচ্ছে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে উচ্চ শব্দের হর্ন।

যত্রতত্র বর্জ্য : ঢাকার রেললাইন, সড়ক, খাল, বিল, নদী সর্বত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। অধিকাংশ বর্জ্যই অপচনশীল পলিথিন। বিভিন্ন স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে বর্জ্যরে ভাগাড়। বারিধারা, ভাসানটেকসহ অনেক জায়গায় মূল সড়কের ওপরই বর্জ্য ফেলার সেকেন্ডারি স্টেশন। এসব স্থান দিয়ে চলাচলের সময় দীর্ঘক্ষণ শ্বাস আটকে রেখেও যানজটের কারণে দুর্গন্ধ থেকে মিলছে না মুক্তি। নগরজুড়ে গড়ে ওঠা লাখ লাখ ছোট দোকানের বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে রাস্তায়। বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটিতে দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার বড় একটি অংশই সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করতে পারে না। সড়কের বর্জ্য সংগ্রহে ২০১৬ সালে দুই সিটির সড়কগুলোয় প্রায় ১১ হাজার মিনি ডাস্টবিন বসানো হলেও অধিকাংশই চুরি হয়ে গেছে। হাতিরঝিলে বিন থাকলেও ঝিলপাড়ের সর্বত্র পড়ে আছে চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল।

যানজট : যানজটে প্রতিদিন সড়কেই কেটে যাচ্ছে নগরবাসীর ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। একদিকে সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি গাড়ি চলছে সড়কে। অন্যদিকে সব লেন আটকে বাসের যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় অকারণেও তৈরি হচ্ছে যানজট। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগের সুফল এখনো পায়নি নগরবাসী। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার যানজটে শুধু মানুষের ভোগান্তি ও কর্মঘণ্টাই নষ্ট হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়। শুধু ঢাকার যানজটের কারণেই বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে ‘দ্য ফিউচার প্ল্যানিং আরবান ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় গড়ে ৫ কিলোমিটার যেতে পারে। ১২ বছর আগে এ গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার।

গণপরিবহন সংকট : রাজধানীবাসীর অন্যতম সমস্যা পর্যাপ্ত ও মানসম্মত গণপরিবহন না থাকা। রাস্তাগুলো যানজটে ঠাসা থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়েও মিলছে না বাস। এর ওপর প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভাড়া। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যানুসারে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে নতুন বাসের নিবন্ধন ৩২.৩ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে জিপ বিক্রি ৫৫, প্রাইভেট কার ২৮ ও মোটরসাইকেল ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

আবাসিকের যন্ত্রণা বাণিজ্যিক কার্যক্রম : বাণিজ্যিক আগ্রাসনে রাজধানীর অধিকাংশ অভিজাত আবাসিক এলাকা। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরার মতো অভিজাত আবাসিক এলাকার ভবনগুলোয়ও অবৈধভাবে গড়ে উঠছে মুদি-মনিহারি দোকান, লন্ড্রি, স্যালুন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, ক্লিনিক, এটিএম বুথসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে নিচতলার পার্কিংয়ের জায়গাটিও। শুধু উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ এভিনিউর ১০ নম্বর ব্রিজ থেকে ১১ নম্বর চৌরাস্তা পর্যন্ত পৌনে ১ কিলোমিটার সড়কটির দুই পাশে থাকা ৪৯টি বহুতল ভবনের ৪০টিতেই দেখা গেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কোনো কোনো ছয় তলা ভবনের শুধু ওপরের দুটি ফ্লোর আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দা বাবলি ইয়াসমিন বলেন, ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে সারা দিন রাস্তায় মানুষের ভিড় লেগে থাকে। গাড়ির হর্নে ঘুমানো যায় না। বাইরের মানুষের আনাগোনায় সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে একটু হাঁটারও উপায় নেই।’ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল হাসান বলেন, ‘আবাসিক প্লটে বা ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু কেউ তা মানছে না। প্রতি জোনের জন্য রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু হচ্ছে। এটা আবাসিক এলাকার মানুষের শান্তি নষ্ট করছে।’

অলিগলির বেহাল অবস্থা : ঢাকার মূল সড়কগুলোর অবস্থা এখন তুলনামূলক ভালো হলেও অলিগলিগুলোর অবস্থা বেহাল। দুই সিটির বিশেষ করে উত্তর সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোর সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। হাতিরঝিলে গুদারাঘাট থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত সড়কটি ভেঙেচুরে একাকার। বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বিভিন্ন সড়ক, পূর্ব বাড্ডার পাঁচ তলা কাঁচাবাজারের আশপাশের অধিকাংশ সড়ক দিয়ে হাঁটাই কষ্টকর। সড়কে সারা বছর জমে থাকে নোংরা পানি। নতুনবাজার থেকে ছোলমাইদ পর্যন্ত বেহাল সড়কটি আট-নয় বছরেও সংস্কার হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। অনেক ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। মগবাজারের দিলু রোডের ব্যবসায়ী আবু মুসা জানান, কয়েক মাস হয়ে গেছে তাঁর দোকানের সামনের সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্তার কাজ চলছে। বৃষ্টি হলে হাঁটাচলাই বন্ধ। ‘একটা সড়ক সংস্কারে কত সময় লাগে? এ প্রশ্ন তাঁর।

মশার উৎপাত : দুই সিটি করপোরেশন বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রেখেও মশা মারতে পারছে না। বৃষ্টির ছোঁয়া পেতেই ফের বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ৭০-৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত শীতে কিউলেক্স মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়েছিল নগরবাসী।

পানি সংকট : রাজধানীর পুরনো সমস্যা পানি সংকট। বর্তমানে মাতুয়াইল, জুরাইন, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, কুড়িল, ভাটারা, রূপনগর, কালাচাঁদপুর, মিরপুর, আগারগাঁও, রায়েরবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি সংকটের খবর পাওয়া গেছে। কিছু এলাকার পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ রয়েছে। পানির সমস্যায় চলতি বছর ঢাকায় ভয়াবহ রূপ নেয় ডায়রিয়া ও কলেরা। ঢাকা ওয়াসা বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দিনে দু-তিন বার লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্প থেকে পানি উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু এলাকায় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাদের লাইনে কোনো সমস্যা নেই।

খেলার মাঠ পার্কের অভাব : শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য রাজধানীতে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক। ফলে শিশুকাল থেকেই শরীরে নানা রোগ নিয়ে বেড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

গণশৌচাগার সংকট : মেগা সিটি ঢাকায় প্রতিদিন রাজপথে চলাচল করে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এ বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হচ্ছে গণশৌচাগারের খোঁজে। নগরীতে চলাচলরত প্রতি ৭৬ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র একটি গণশৌচাগার। ৫ কিলোমিটারের মধ্যেও মেলে না তার একটি। বাধ্য হয়ে রাস্তার আশপাশেই ফাঁক খুঁজে প্রাকৃতিক কর্ম সারছে অনেকে। এতে দূষিত হচ্ছে নগরী। অনেক ফুটপাতই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মানববর্জ্যরে কারণে।

পার্কিং সংকট : পার্কিং সংকট রাজধানীর অন্যতম বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। নির্মাণ বিধিমালা না মেনে পার্কিং ছাড়াই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবন। ফলে এসব স্থানে যাতায়াতকারী মানুষ গাড়ি রাখছে ভবনের সামনের রাস্তায়। রাজধানীতে কয়েকটি আধুনিক পার্কিংব্যবস্থা গড়ে উঠলেও সেগুলোর ঠিকানা জানে না অধিকাংশ মানুষ। রাস্তার বড় একটি অংশ পার্কিংয়ের দখলে চলে যাওয়ায় যানজট তীব্র হচ্ছে।

জলাবদ্ধতা : খাল উদ্ধারের মাধ্যমে চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা অনেকটাই লাঘবের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকার দুই মেয়র। বর্ষা তেমন না হওয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যায়নি। তবে ২০ জুলাই বৃষ্টিতে হাঁটুপানিতে তলিয়ে গিয়েছিল রাজধানীর অনেক এলাকা। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল এলাকায় প্রবেশের সামনের গেট থেকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এবং পেছনের আবাসিক এলাকার একমাত্র সড়ক পুরোটাই পানিতে তলিয়ে যায়। সেই পানিতে যুক্ত হয় সুয়ারেজের ময়লা। রাস্তাটি জেগে উঠতে লেগে যায় ৪ ঘণ্টার বেশি। রামপুরা বৌবাজারে জমে যায় হাঁটুপানি।

বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি : রামপুরা বেটারলাইফ হাসপাতালের পেছনে ওয়াসা রোডটিতে সিপাহিবাগ বাজার পর্যন্ত ছয় মাস ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এলাকাবাসী বলছে, সুয়ারেজ লাইনের জন্য বড় বড় গর্ত করে রাখা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যায় না। কবে এ কাজ শেষ হবে কেউ জানে না। এদিকে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক গত ছয় মাসের মধ্যে তিন-চার বার খোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, ঢাকার ৫৪ সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে একই রাস্তা বারবার খুঁড়ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কখনো পানির লাইন, কখনো বিদ্যুতের ক্যাবল, কখনো ফাইবার অপটিক ক্যাবল, কখনো গ্যাসের পাইপ বসাতে খোঁড়া হচ্ছে। এতে একদিকে জনভোগান্তি লেগেই থাকছে, অন্যদিকে বিপুল অর্থ অপচয় হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা আগে থেকে জানাতে দুই সিটি করপোরেশন সংস্থাগুলোকে মৌখিক ও লিখিতভাবে বললেও সাড়া দেয়নি অধিকাংশ সংস্থা।

শেষ হয় না মেগা প্রকল্প : ২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য মিরপুরের পূরবী থেকে কালশী পর্যন্ত ভাঙাচোরা সড়কটি এক রাতেই কার্পেটিং করা হয়। অথচ বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এ প্রকল্প এখন ঢাকা ও গাজীপুরের যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কের কাওলা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত উন্নয়ন যন্ত্রণায় ভুগছে নগরবাসী। একপাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ, অন্যদিকে বিআরটির কাজ। ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে এ সড়কে। এ কারণে বিমানযাত্রীদের সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।

যত্রতত্র বাস-ট্রাক টার্মিনাল : শহরের মধ্যেই দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক টার্মিনাল রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু মহাখালী টার্মিনালের কারণে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকছে। এদিকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের আশপাশের সংযোগ সড়কগুলো আবারও ট্রাকের দখলে চলে গেছে। ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক দীর্ঘ ৪০ বছর পর সড়কগুলো উদ্ধার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলেন। ট্রাকচালকরা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে প্রতিদিন ২ হাজার ট্রাক থাকে। প্রায় ৫ হাজার ট্রাক আসা-যাওয়া করে। এত ট্রাকের ধারণক্ষমতা ট্রাকস্ট্যান্ডের নেই। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষের দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা অনেক বেশি পরিকল্পিত হওয়ার কথা ছিল। সে পরিকল্পনাও রয়েছে। দরকার শুধু রাজনৈতিক ইচ্ছা। আনিসুল হক ঢাকাকে বদলে দিতে অসংখ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। বেশ কিছু প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁকে কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছিল। মেয়রের কাজের বাইরে গিয়ে তাঁকে অনেক উদ্যোগ নিতে দেখেছি। গণপরিবহন সমস্যা দূর করতে ৪ হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। ফুটপাত দখলমুক্ত ও প্রতিবন্ধীবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে।’ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সড়ক আছে তা যদি গণপরিবহনভিত্তিক ও পদচারীবান্ধব করতাম, এ সড়কের সক্ষমতা ৮-১০ গুণ বাড়ানো যেত। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ সবই কমত। সেই পন্থা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেওয়া আছে। কিন্তু করছি না। আনিসুল হক সাহেব এটা শুরু করেছিলেন, কেউ এগিয়ে নিল না। শুধুই প্রতিশ্রুতি দিল। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি বড় বড় মেগা প্রকল্পে। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছি। ধনীদের জন্য সাজাতে গিয়ে এ শহরকে বসবাস-অযোগ্য করে ফেলেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
প্রচারে পোস্টার নয় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিল
প্রচারে পোস্টার নয় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিল
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
ভারতীয় গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ
ভারতীয় গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ
দিল্লির পর এবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলা
দিল্লির পর এবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলা
হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
বিএনসিসিতে মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ জরুরি
বিএনসিসিতে মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ জরুরি
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ
সর্বশেষ খবর
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

১৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল
ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার
জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি
নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি
রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া
জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট
নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারবে না, দাবি গণ অধিকার পরিষদের
আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারবে না, দাবি গণ অধিকার পরিষদের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিত্যপণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
নিত্যপণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান এফবিসিসিআই’র

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিলেটের বিটিসিএল’র পরিত্যক্ত গুদামে আগুন
সিলেটের বিটিসিএল’র পরিত্যক্ত গুদামে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ার ড্রোন ঠেকাতে ইউরোপের নতুন লড়াই
রাশিয়ার ড্রোন ঠেকাতে ইউরোপের নতুন লড়াই

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ
নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা
লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন
মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের
১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক