শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

ধুলায় ধূসর আকাশ, শব্দে স্তব্ধ কান, শহরজুড়ে বর্জ্য, যানজটে নাভিশ্বাস, গণপরিবহন সংকট, আবাসিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বেহাল অলিগলি, ফুটপাত দখল, মশার উৎপাত, পানি সংকট, নেই খেলার মাঠ, গণশৌচাগারের অভাব, পার্কিং সংকট, জলাবদ্ধতা
শামীম আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

রাজধানীবাসীর কপাল থেকে দুর্ভোগের দিন কাটছেই না। দফায় দফায় মিটিং, উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রেস ব্রিফিং আর আশ্বাসেই আটকে আছে এ শহরের টেকসই উন্নয়ন। গণপরিবহন সংকট, ভয়াবহ যানজট, মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যত্রতত্র আবর্জনা, বিশুদ্ধ পানির সংকট, মশার উৎপাত, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। নাগরিক সুবিধা দিতে অপারগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। উল্টো এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় বছরজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বাড়ছে দুর্ভোগ। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই এখন ঢাকা ছাড়ার সুযোগ খুঁজছেন। আবার সংকটের মধ্যেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কাজের খোঁজে ভিড় করছেন রাজধানীতে।

নগরবিদরা বলছেন, একটি নিরাপদ, স্মার্ট ও সবুজ ঢাকা উপহার দিতে উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজও শুরু করেছিলেন। গণপরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এনে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ছয়টি বাস কোম্পানির অধীনে ৪ হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বাস মালিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে গুছিয়ে এনেছিলেন সবকিছু। কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র যানজটমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্র বাড়াতে হাতিরঝিলের মতো আরও তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। যানজট নিরসনে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা এবং মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ইউটার্ন প্রকল্প নেন। ঢাকার নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ২৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছিলেন। এসব প্রকল্পে স্থায়ী বাসস্থান পেত অবহেলিত মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড অবৈধ দখলমুক্ত করেন। এ ছাড়া নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়া, নগরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো, গুলশান-বনানী থেকে পুরনো বাস সরিয়ে ‘ঢাকা চাকা’ নামে নতুন এসি বাস সার্ভিস চালু, ‘সবুজ ঢাকা’ নামে বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচিসহ অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল মানুষ পাচ্ছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর অধিকাংশ পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি।

বাসযোগ্যতার তলানিতে : চলতি বছর প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১৭২ শহরের মধ্যে বাসযোগ্যতায় ঢাকার স্থান ১৬৬তম। বাসযোগ্যতা বোঝার জন্য স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো- এ পাঁচ মানদণ্ডে বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। পাঁচ সূচকের মধ্যে ঢাকা সবচেয়ে কম ২৬.৮ স্কোর পেয়েছে অবকাঠামোয়, এ সূচকে ঢাকার চেয়ে খারাপ দশায় আর কোনো শহর নেই।

ধুলার শহর : বায়ুদূষণে বছরের অধিকাংশ সময় ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে থাকছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে রাজধানীর ২৪.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফুসফুসের সক্ষমতা কমেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ধুলায় ধূসর প্রতিটি নির্মাণ এলাকা। ধুলা উড়িয়ে চলছে যানবাহন। শহরজুড়ে ট্রাকে-পিকআপে উন্মুক্তভাবে বহন করা হচ্ছে বালু, পাথর, সিমেন্ট। মারাত্মক ধুলাদূষণে পড়ছে এসব ট্রাকের পেছনে থাকা অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা।

শব্দদূষণ : চলতি বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শিকার ঢাকার বাসিন্দারা। ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডিবি, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে গাড়ির হর্নকে দায়ী করা হয় প্রতিবেদনে। নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হাসপাতাল এলাকায়ও উচ্চ শব্দে বাজছে হর্ন। ধানমন্ডির বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে ১৭ স্থানে জরিপ চালিয়ে সব জায়গায়ই ৮১ ডেসিবেলের বেশি শব্দদূষণ পেয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। অথচ আবাসিক এলাকায়ই অনুমতিযোগ্য শব্দের মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল ও বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতালের আশপাশে হর্ন বাজানোই নিষিদ্ধ। আইনে শব্দদূষণ নিষিদ্ধ হলেও আমদানি হচ্ছে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে উচ্চ শব্দের হর্ন।

যত্রতত্র বর্জ্য : ঢাকার রেললাইন, সড়ক, খাল, বিল, নদী সর্বত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। অধিকাংশ বর্জ্যই অপচনশীল পলিথিন। বিভিন্ন স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে বর্জ্যরে ভাগাড়। বারিধারা, ভাসানটেকসহ অনেক জায়গায় মূল সড়কের ওপরই বর্জ্য ফেলার সেকেন্ডারি স্টেশন। এসব স্থান দিয়ে চলাচলের সময় দীর্ঘক্ষণ শ্বাস আটকে রেখেও যানজটের কারণে দুর্গন্ধ থেকে মিলছে না মুক্তি। নগরজুড়ে গড়ে ওঠা লাখ লাখ ছোট দোকানের বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে রাস্তায়। বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটিতে দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার বড় একটি অংশই সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করতে পারে না। সড়কের বর্জ্য সংগ্রহে ২০১৬ সালে দুই সিটির সড়কগুলোয় প্রায় ১১ হাজার মিনি ডাস্টবিন বসানো হলেও অধিকাংশই চুরি হয়ে গেছে। হাতিরঝিলে বিন থাকলেও ঝিলপাড়ের সর্বত্র পড়ে আছে চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল।

যানজট : যানজটে প্রতিদিন সড়কেই কেটে যাচ্ছে নগরবাসীর ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। একদিকে সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি গাড়ি চলছে সড়কে। অন্যদিকে সব লেন আটকে বাসের যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় অকারণেও তৈরি হচ্ছে যানজট। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগের সুফল এখনো পায়নি নগরবাসী। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার যানজটে শুধু মানুষের ভোগান্তি ও কর্মঘণ্টাই নষ্ট হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়। শুধু ঢাকার যানজটের কারণেই বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে ‘দ্য ফিউচার প্ল্যানিং আরবান ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় গড়ে ৫ কিলোমিটার যেতে পারে। ১২ বছর আগে এ গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার।

গণপরিবহন সংকট : রাজধানীবাসীর অন্যতম সমস্যা পর্যাপ্ত ও মানসম্মত গণপরিবহন না থাকা। রাস্তাগুলো যানজটে ঠাসা থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়েও মিলছে না বাস। এর ওপর প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভাড়া। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যানুসারে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে নতুন বাসের নিবন্ধন ৩২.৩ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে জিপ বিক্রি ৫৫, প্রাইভেট কার ২৮ ও মোটরসাইকেল ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

আবাসিকের যন্ত্রণা বাণিজ্যিক কার্যক্রম : বাণিজ্যিক আগ্রাসনে রাজধানীর অধিকাংশ অভিজাত আবাসিক এলাকা। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরার মতো অভিজাত আবাসিক এলাকার ভবনগুলোয়ও অবৈধভাবে গড়ে উঠছে মুদি-মনিহারি দোকান, লন্ড্রি, স্যালুন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, ক্লিনিক, এটিএম বুথসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে নিচতলার পার্কিংয়ের জায়গাটিও। শুধু উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ এভিনিউর ১০ নম্বর ব্রিজ থেকে ১১ নম্বর চৌরাস্তা পর্যন্ত পৌনে ১ কিলোমিটার সড়কটির দুই পাশে থাকা ৪৯টি বহুতল ভবনের ৪০টিতেই দেখা গেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কোনো কোনো ছয় তলা ভবনের শুধু ওপরের দুটি ফ্লোর আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দা বাবলি ইয়াসমিন বলেন, ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে সারা দিন রাস্তায় মানুষের ভিড় লেগে থাকে। গাড়ির হর্নে ঘুমানো যায় না। বাইরের মানুষের আনাগোনায় সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে একটু হাঁটারও উপায় নেই।’ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল হাসান বলেন, ‘আবাসিক প্লটে বা ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু কেউ তা মানছে না। প্রতি জোনের জন্য রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু হচ্ছে। এটা আবাসিক এলাকার মানুষের শান্তি নষ্ট করছে।’

অলিগলির বেহাল অবস্থা : ঢাকার মূল সড়কগুলোর অবস্থা এখন তুলনামূলক ভালো হলেও অলিগলিগুলোর অবস্থা বেহাল। দুই সিটির বিশেষ করে উত্তর সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোর সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। হাতিরঝিলে গুদারাঘাট থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত সড়কটি ভেঙেচুরে একাকার। বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বিভিন্ন সড়ক, পূর্ব বাড্ডার পাঁচ তলা কাঁচাবাজারের আশপাশের অধিকাংশ সড়ক দিয়ে হাঁটাই কষ্টকর। সড়কে সারা বছর জমে থাকে নোংরা পানি। নতুনবাজার থেকে ছোলমাইদ পর্যন্ত বেহাল সড়কটি আট-নয় বছরেও সংস্কার হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। অনেক ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। মগবাজারের দিলু রোডের ব্যবসায়ী আবু মুসা জানান, কয়েক মাস হয়ে গেছে তাঁর দোকানের সামনের সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্তার কাজ চলছে। বৃষ্টি হলে হাঁটাচলাই বন্ধ। ‘একটা সড়ক সংস্কারে কত সময় লাগে? এ প্রশ্ন তাঁর।

মশার উৎপাত : দুই সিটি করপোরেশন বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রেখেও মশা মারতে পারছে না। বৃষ্টির ছোঁয়া পেতেই ফের বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ৭০-৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত শীতে কিউলেক্স মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়েছিল নগরবাসী।

পানি সংকট : রাজধানীর পুরনো সমস্যা পানি সংকট। বর্তমানে মাতুয়াইল, জুরাইন, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, কুড়িল, ভাটারা, রূপনগর, কালাচাঁদপুর, মিরপুর, আগারগাঁও, রায়েরবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি সংকটের খবর পাওয়া গেছে। কিছু এলাকার পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ রয়েছে। পানির সমস্যায় চলতি বছর ঢাকায় ভয়াবহ রূপ নেয় ডায়রিয়া ও কলেরা। ঢাকা ওয়াসা বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দিনে দু-তিন বার লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্প থেকে পানি উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু এলাকায় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাদের লাইনে কোনো সমস্যা নেই।

খেলার মাঠ পার্কের অভাব : শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য রাজধানীতে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক। ফলে শিশুকাল থেকেই শরীরে নানা রোগ নিয়ে বেড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

গণশৌচাগার সংকট : মেগা সিটি ঢাকায় প্রতিদিন রাজপথে চলাচল করে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এ বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হচ্ছে গণশৌচাগারের খোঁজে। নগরীতে চলাচলরত প্রতি ৭৬ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র একটি গণশৌচাগার। ৫ কিলোমিটারের মধ্যেও মেলে না তার একটি। বাধ্য হয়ে রাস্তার আশপাশেই ফাঁক খুঁজে প্রাকৃতিক কর্ম সারছে অনেকে। এতে দূষিত হচ্ছে নগরী। অনেক ফুটপাতই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মানববর্জ্যরে কারণে।

পার্কিং সংকট : পার্কিং সংকট রাজধানীর অন্যতম বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। নির্মাণ বিধিমালা না মেনে পার্কিং ছাড়াই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবন। ফলে এসব স্থানে যাতায়াতকারী মানুষ গাড়ি রাখছে ভবনের সামনের রাস্তায়। রাজধানীতে কয়েকটি আধুনিক পার্কিংব্যবস্থা গড়ে উঠলেও সেগুলোর ঠিকানা জানে না অধিকাংশ মানুষ। রাস্তার বড় একটি অংশ পার্কিংয়ের দখলে চলে যাওয়ায় যানজট তীব্র হচ্ছে।

জলাবদ্ধতা : খাল উদ্ধারের মাধ্যমে চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা অনেকটাই লাঘবের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকার দুই মেয়র। বর্ষা তেমন না হওয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যায়নি। তবে ২০ জুলাই বৃষ্টিতে হাঁটুপানিতে তলিয়ে গিয়েছিল রাজধানীর অনেক এলাকা। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল এলাকায় প্রবেশের সামনের গেট থেকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এবং পেছনের আবাসিক এলাকার একমাত্র সড়ক পুরোটাই পানিতে তলিয়ে যায়। সেই পানিতে যুক্ত হয় সুয়ারেজের ময়লা। রাস্তাটি জেগে উঠতে লেগে যায় ৪ ঘণ্টার বেশি। রামপুরা বৌবাজারে জমে যায় হাঁটুপানি।

বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি : রামপুরা বেটারলাইফ হাসপাতালের পেছনে ওয়াসা রোডটিতে সিপাহিবাগ বাজার পর্যন্ত ছয় মাস ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এলাকাবাসী বলছে, সুয়ারেজ লাইনের জন্য বড় বড় গর্ত করে রাখা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যায় না। কবে এ কাজ শেষ হবে কেউ জানে না। এদিকে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক গত ছয় মাসের মধ্যে তিন-চার বার খোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, ঢাকার ৫৪ সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে একই রাস্তা বারবার খুঁড়ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কখনো পানির লাইন, কখনো বিদ্যুতের ক্যাবল, কখনো ফাইবার অপটিক ক্যাবল, কখনো গ্যাসের পাইপ বসাতে খোঁড়া হচ্ছে। এতে একদিকে জনভোগান্তি লেগেই থাকছে, অন্যদিকে বিপুল অর্থ অপচয় হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা আগে থেকে জানাতে দুই সিটি করপোরেশন সংস্থাগুলোকে মৌখিক ও লিখিতভাবে বললেও সাড়া দেয়নি অধিকাংশ সংস্থা।

শেষ হয় না মেগা প্রকল্প : ২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য মিরপুরের পূরবী থেকে কালশী পর্যন্ত ভাঙাচোরা সড়কটি এক রাতেই কার্পেটিং করা হয়। অথচ বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এ প্রকল্প এখন ঢাকা ও গাজীপুরের যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কের কাওলা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত উন্নয়ন যন্ত্রণায় ভুগছে নগরবাসী। একপাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ, অন্যদিকে বিআরটির কাজ। ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে এ সড়কে। এ কারণে বিমানযাত্রীদের সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।

যত্রতত্র বাস-ট্রাক টার্মিনাল : শহরের মধ্যেই দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক টার্মিনাল রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু মহাখালী টার্মিনালের কারণে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকছে। এদিকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের আশপাশের সংযোগ সড়কগুলো আবারও ট্রাকের দখলে চলে গেছে। ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক দীর্ঘ ৪০ বছর পর সড়কগুলো উদ্ধার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলেন। ট্রাকচালকরা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে প্রতিদিন ২ হাজার ট্রাক থাকে। প্রায় ৫ হাজার ট্রাক আসা-যাওয়া করে। এত ট্রাকের ধারণক্ষমতা ট্রাকস্ট্যান্ডের নেই। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষের দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা অনেক বেশি পরিকল্পিত হওয়ার কথা ছিল। সে পরিকল্পনাও রয়েছে। দরকার শুধু রাজনৈতিক ইচ্ছা। আনিসুল হক ঢাকাকে বদলে দিতে অসংখ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। বেশ কিছু প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁকে কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছিল। মেয়রের কাজের বাইরে গিয়ে তাঁকে অনেক উদ্যোগ নিতে দেখেছি। গণপরিবহন সমস্যা দূর করতে ৪ হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। ফুটপাত দখলমুক্ত ও প্রতিবন্ধীবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে।’ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সড়ক আছে তা যদি গণপরিবহনভিত্তিক ও পদচারীবান্ধব করতাম, এ সড়কের সক্ষমতা ৮-১০ গুণ বাড়ানো যেত। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ সবই কমত। সেই পন্থা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেওয়া আছে। কিন্তু করছি না। আনিসুল হক সাহেব এটা শুরু করেছিলেন, কেউ এগিয়ে নিল না। শুধুই প্রতিশ্রুতি দিল। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি বড় বড় মেগা প্রকল্পে। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছি। ধনীদের জন্য সাজাতে গিয়ে এ শহরকে বসবাস-অযোগ্য করে ফেলেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা
অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’
প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’

শোবিজ

বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন
বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন

রকমারি নগর পরিক্রমা

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা