শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

ধুলায় ধূসর আকাশ, শব্দে স্তব্ধ কান, শহরজুড়ে বর্জ্য, যানজটে নাভিশ্বাস, গণপরিবহন সংকট, আবাসিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বেহাল অলিগলি, ফুটপাত দখল, মশার উৎপাত, পানি সংকট, নেই খেলার মাঠ, গণশৌচাগারের অভাব, পার্কিং সংকট, জলাবদ্ধতা
শামীম আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
সংকটে কাবু ঢাকা সিটি

রাজধানীবাসীর কপাল থেকে দুর্ভোগের দিন কাটছেই না। দফায় দফায় মিটিং, উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রেস ব্রিফিং আর আশ্বাসেই আটকে আছে এ শহরের টেকসই উন্নয়ন। গণপরিবহন সংকট, ভয়াবহ যানজট, মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যত্রতত্র আবর্জনা, বিশুদ্ধ পানির সংকট, মশার উৎপাত, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। নাগরিক সুবিধা দিতে অপারগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। উল্টো এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় বছরজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বাড়ছে দুর্ভোগ। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই এখন ঢাকা ছাড়ার সুযোগ খুঁজছেন। আবার সংকটের মধ্যেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কাজের খোঁজে ভিড় করছেন রাজধানীতে।

নগরবিদরা বলছেন, একটি নিরাপদ, স্মার্ট ও সবুজ ঢাকা উপহার দিতে উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজও শুরু করেছিলেন। গণপরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এনে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ছয়টি বাস কোম্পানির অধীনে ৪ হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বাস মালিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে গুছিয়ে এনেছিলেন সবকিছু। কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র যানজটমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্র বাড়াতে হাতিরঝিলের মতো আরও তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। যানজট নিরসনে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা এবং মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ইউটার্ন প্রকল্প নেন। ঢাকার নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ২৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছিলেন। এসব প্রকল্পে স্থায়ী বাসস্থান পেত অবহেলিত মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড অবৈধ দখলমুক্ত করেন। এ ছাড়া নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়া, নগরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো, গুলশান-বনানী থেকে পুরনো বাস সরিয়ে ‘ঢাকা চাকা’ নামে নতুন এসি বাস সার্ভিস চালু, ‘সবুজ ঢাকা’ নামে বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচিসহ অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল মানুষ পাচ্ছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর অধিকাংশ পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি।

বাসযোগ্যতার তলানিতে : চলতি বছর প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১৭২ শহরের মধ্যে বাসযোগ্যতায় ঢাকার স্থান ১৬৬তম। বাসযোগ্যতা বোঝার জন্য স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো- এ পাঁচ মানদণ্ডে বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। পাঁচ সূচকের মধ্যে ঢাকা সবচেয়ে কম ২৬.৮ স্কোর পেয়েছে অবকাঠামোয়, এ সূচকে ঢাকার চেয়ে খারাপ দশায় আর কোনো শহর নেই।

ধুলার শহর : বায়ুদূষণে বছরের অধিকাংশ সময় ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে থাকছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে রাজধানীর ২৪.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফুসফুসের সক্ষমতা কমেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ধুলায় ধূসর প্রতিটি নির্মাণ এলাকা। ধুলা উড়িয়ে চলছে যানবাহন। শহরজুড়ে ট্রাকে-পিকআপে উন্মুক্তভাবে বহন করা হচ্ছে বালু, পাথর, সিমেন্ট। মারাত্মক ধুলাদূষণে পড়ছে এসব ট্রাকের পেছনে থাকা অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা।

শব্দদূষণ : চলতি বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শিকার ঢাকার বাসিন্দারা। ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডিবি, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে গাড়ির হর্নকে দায়ী করা হয় প্রতিবেদনে। নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হাসপাতাল এলাকায়ও উচ্চ শব্দে বাজছে হর্ন। ধানমন্ডির বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে ১৭ স্থানে জরিপ চালিয়ে সব জায়গায়ই ৮১ ডেসিবেলের বেশি শব্দদূষণ পেয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। অথচ আবাসিক এলাকায়ই অনুমতিযোগ্য শব্দের মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল ও বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতালের আশপাশে হর্ন বাজানোই নিষিদ্ধ। আইনে শব্দদূষণ নিষিদ্ধ হলেও আমদানি হচ্ছে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে উচ্চ শব্দের হর্ন।

যত্রতত্র বর্জ্য : ঢাকার রেললাইন, সড়ক, খাল, বিল, নদী সর্বত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। অধিকাংশ বর্জ্যই অপচনশীল পলিথিন। বিভিন্ন স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে বর্জ্যরে ভাগাড়। বারিধারা, ভাসানটেকসহ অনেক জায়গায় মূল সড়কের ওপরই বর্জ্য ফেলার সেকেন্ডারি স্টেশন। এসব স্থান দিয়ে চলাচলের সময় দীর্ঘক্ষণ শ্বাস আটকে রেখেও যানজটের কারণে দুর্গন্ধ থেকে মিলছে না মুক্তি। নগরজুড়ে গড়ে ওঠা লাখ লাখ ছোট দোকানের বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে রাস্তায়। বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটিতে দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার বড় একটি অংশই সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করতে পারে না। সড়কের বর্জ্য সংগ্রহে ২০১৬ সালে দুই সিটির সড়কগুলোয় প্রায় ১১ হাজার মিনি ডাস্টবিন বসানো হলেও অধিকাংশই চুরি হয়ে গেছে। হাতিরঝিলে বিন থাকলেও ঝিলপাড়ের সর্বত্র পড়ে আছে চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল।

যানজট : যানজটে প্রতিদিন সড়কেই কেটে যাচ্ছে নগরবাসীর ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। একদিকে সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি গাড়ি চলছে সড়কে। অন্যদিকে সব লেন আটকে বাসের যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় অকারণেও তৈরি হচ্ছে যানজট। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগের সুফল এখনো পায়নি নগরবাসী। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার যানজটে শুধু মানুষের ভোগান্তি ও কর্মঘণ্টাই নষ্ট হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়। শুধু ঢাকার যানজটের কারণেই বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে ‘দ্য ফিউচার প্ল্যানিং আরবান ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় গড়ে ৫ কিলোমিটার যেতে পারে। ১২ বছর আগে এ গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার।

গণপরিবহন সংকট : রাজধানীবাসীর অন্যতম সমস্যা পর্যাপ্ত ও মানসম্মত গণপরিবহন না থাকা। রাস্তাগুলো যানজটে ঠাসা থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়েও মিলছে না বাস। এর ওপর প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভাড়া। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যানুসারে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে নতুন বাসের নিবন্ধন ৩২.৩ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে জিপ বিক্রি ৫৫, প্রাইভেট কার ২৮ ও মোটরসাইকেল ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

আবাসিকের যন্ত্রণা বাণিজ্যিক কার্যক্রম : বাণিজ্যিক আগ্রাসনে রাজধানীর অধিকাংশ অভিজাত আবাসিক এলাকা। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরার মতো অভিজাত আবাসিক এলাকার ভবনগুলোয়ও অবৈধভাবে গড়ে উঠছে মুদি-মনিহারি দোকান, লন্ড্রি, স্যালুন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, ক্লিনিক, এটিএম বুথসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে নিচতলার পার্কিংয়ের জায়গাটিও। শুধু উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ এভিনিউর ১০ নম্বর ব্রিজ থেকে ১১ নম্বর চৌরাস্তা পর্যন্ত পৌনে ১ কিলোমিটার সড়কটির দুই পাশে থাকা ৪৯টি বহুতল ভবনের ৪০টিতেই দেখা গেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কোনো কোনো ছয় তলা ভবনের শুধু ওপরের দুটি ফ্লোর আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দা বাবলি ইয়াসমিন বলেন, ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে সারা দিন রাস্তায় মানুষের ভিড় লেগে থাকে। গাড়ির হর্নে ঘুমানো যায় না। বাইরের মানুষের আনাগোনায় সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে একটু হাঁটারও উপায় নেই।’ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল হাসান বলেন, ‘আবাসিক প্লটে বা ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু কেউ তা মানছে না। প্রতি জোনের জন্য রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু হচ্ছে। এটা আবাসিক এলাকার মানুষের শান্তি নষ্ট করছে।’

অলিগলির বেহাল অবস্থা : ঢাকার মূল সড়কগুলোর অবস্থা এখন তুলনামূলক ভালো হলেও অলিগলিগুলোর অবস্থা বেহাল। দুই সিটির বিশেষ করে উত্তর সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোর সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। হাতিরঝিলে গুদারাঘাট থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত সড়কটি ভেঙেচুরে একাকার। বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বিভিন্ন সড়ক, পূর্ব বাড্ডার পাঁচ তলা কাঁচাবাজারের আশপাশের অধিকাংশ সড়ক দিয়ে হাঁটাই কষ্টকর। সড়কে সারা বছর জমে থাকে নোংরা পানি। নতুনবাজার থেকে ছোলমাইদ পর্যন্ত বেহাল সড়কটি আট-নয় বছরেও সংস্কার হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। অনেক ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। মগবাজারের দিলু রোডের ব্যবসায়ী আবু মুসা জানান, কয়েক মাস হয়ে গেছে তাঁর দোকানের সামনের সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্তার কাজ চলছে। বৃষ্টি হলে হাঁটাচলাই বন্ধ। ‘একটা সড়ক সংস্কারে কত সময় লাগে? এ প্রশ্ন তাঁর।

মশার উৎপাত : দুই সিটি করপোরেশন বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রেখেও মশা মারতে পারছে না। বৃষ্টির ছোঁয়া পেতেই ফের বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ৭০-৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত শীতে কিউলেক্স মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়েছিল নগরবাসী।

পানি সংকট : রাজধানীর পুরনো সমস্যা পানি সংকট। বর্তমানে মাতুয়াইল, জুরাইন, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, কুড়িল, ভাটারা, রূপনগর, কালাচাঁদপুর, মিরপুর, আগারগাঁও, রায়েরবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি সংকটের খবর পাওয়া গেছে। কিছু এলাকার পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ রয়েছে। পানির সমস্যায় চলতি বছর ঢাকায় ভয়াবহ রূপ নেয় ডায়রিয়া ও কলেরা। ঢাকা ওয়াসা বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দিনে দু-তিন বার লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্প থেকে পানি উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু এলাকায় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাদের লাইনে কোনো সমস্যা নেই।

খেলার মাঠ পার্কের অভাব : শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য রাজধানীতে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক। ফলে শিশুকাল থেকেই শরীরে নানা রোগ নিয়ে বেড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

গণশৌচাগার সংকট : মেগা সিটি ঢাকায় প্রতিদিন রাজপথে চলাচল করে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এ বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হচ্ছে গণশৌচাগারের খোঁজে। নগরীতে চলাচলরত প্রতি ৭৬ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র একটি গণশৌচাগার। ৫ কিলোমিটারের মধ্যেও মেলে না তার একটি। বাধ্য হয়ে রাস্তার আশপাশেই ফাঁক খুঁজে প্রাকৃতিক কর্ম সারছে অনেকে। এতে দূষিত হচ্ছে নগরী। অনেক ফুটপাতই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মানববর্জ্যরে কারণে।

পার্কিং সংকট : পার্কিং সংকট রাজধানীর অন্যতম বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। নির্মাণ বিধিমালা না মেনে পার্কিং ছাড়াই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবন। ফলে এসব স্থানে যাতায়াতকারী মানুষ গাড়ি রাখছে ভবনের সামনের রাস্তায়। রাজধানীতে কয়েকটি আধুনিক পার্কিংব্যবস্থা গড়ে উঠলেও সেগুলোর ঠিকানা জানে না অধিকাংশ মানুষ। রাস্তার বড় একটি অংশ পার্কিংয়ের দখলে চলে যাওয়ায় যানজট তীব্র হচ্ছে।

জলাবদ্ধতা : খাল উদ্ধারের মাধ্যমে চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা অনেকটাই লাঘবের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকার দুই মেয়র। বর্ষা তেমন না হওয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যায়নি। তবে ২০ জুলাই বৃষ্টিতে হাঁটুপানিতে তলিয়ে গিয়েছিল রাজধানীর অনেক এলাকা। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল এলাকায় প্রবেশের সামনের গেট থেকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এবং পেছনের আবাসিক এলাকার একমাত্র সড়ক পুরোটাই পানিতে তলিয়ে যায়। সেই পানিতে যুক্ত হয় সুয়ারেজের ময়লা। রাস্তাটি জেগে উঠতে লেগে যায় ৪ ঘণ্টার বেশি। রামপুরা বৌবাজারে জমে যায় হাঁটুপানি।

বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি : রামপুরা বেটারলাইফ হাসপাতালের পেছনে ওয়াসা রোডটিতে সিপাহিবাগ বাজার পর্যন্ত ছয় মাস ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এলাকাবাসী বলছে, সুয়ারেজ লাইনের জন্য বড় বড় গর্ত করে রাখা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যায় না। কবে এ কাজ শেষ হবে কেউ জানে না। এদিকে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক গত ছয় মাসের মধ্যে তিন-চার বার খোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, ঢাকার ৫৪ সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে একই রাস্তা বারবার খুঁড়ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কখনো পানির লাইন, কখনো বিদ্যুতের ক্যাবল, কখনো ফাইবার অপটিক ক্যাবল, কখনো গ্যাসের পাইপ বসাতে খোঁড়া হচ্ছে। এতে একদিকে জনভোগান্তি লেগেই থাকছে, অন্যদিকে বিপুল অর্থ অপচয় হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা আগে থেকে জানাতে দুই সিটি করপোরেশন সংস্থাগুলোকে মৌখিক ও লিখিতভাবে বললেও সাড়া দেয়নি অধিকাংশ সংস্থা।

শেষ হয় না মেগা প্রকল্প : ২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য মিরপুরের পূরবী থেকে কালশী পর্যন্ত ভাঙাচোরা সড়কটি এক রাতেই কার্পেটিং করা হয়। অথচ বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এ প্রকল্প এখন ঢাকা ও গাজীপুরের যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কের কাওলা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত উন্নয়ন যন্ত্রণায় ভুগছে নগরবাসী। একপাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ, অন্যদিকে বিআরটির কাজ। ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে এ সড়কে। এ কারণে বিমানযাত্রীদের সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।

যত্রতত্র বাস-ট্রাক টার্মিনাল : শহরের মধ্যেই দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক টার্মিনাল রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু মহাখালী টার্মিনালের কারণে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকছে। এদিকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের আশপাশের সংযোগ সড়কগুলো আবারও ট্রাকের দখলে চলে গেছে। ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক দীর্ঘ ৪০ বছর পর সড়কগুলো উদ্ধার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলেন। ট্রাকচালকরা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে প্রতিদিন ২ হাজার ট্রাক থাকে। প্রায় ৫ হাজার ট্রাক আসা-যাওয়া করে। এত ট্রাকের ধারণক্ষমতা ট্রাকস্ট্যান্ডের নেই। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষের দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা অনেক বেশি পরিকল্পিত হওয়ার কথা ছিল। সে পরিকল্পনাও রয়েছে। দরকার শুধু রাজনৈতিক ইচ্ছা। আনিসুল হক ঢাকাকে বদলে দিতে অসংখ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। বেশ কিছু প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁকে কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছিল। মেয়রের কাজের বাইরে গিয়ে তাঁকে অনেক উদ্যোগ নিতে দেখেছি। গণপরিবহন সমস্যা দূর করতে ৪ হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। ফুটপাত দখলমুক্ত ও প্রতিবন্ধীবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে।’ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সড়ক আছে তা যদি গণপরিবহনভিত্তিক ও পদচারীবান্ধব করতাম, এ সড়কের সক্ষমতা ৮-১০ গুণ বাড়ানো যেত। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ সবই কমত। সেই পন্থা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেওয়া আছে। কিন্তু করছি না। আনিসুল হক সাহেব এটা শুরু করেছিলেন, কেউ এগিয়ে নিল না। শুধুই প্রতিশ্রুতি দিল। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি বড় বড় মেগা প্রকল্পে। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছি। ধনীদের জন্য সাজাতে গিয়ে এ শহরকে বসবাস-অযোগ্য করে ফেলেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
সর্বশেষ খবর
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

৩৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা