চট্টগ্রামের মিরসরাইর খৈয়ারছড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় গঠিত পৃথক দুটি কমিটির তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজকালের মধ্যেই তদন্ত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতের মধ্যে দুজনকে নিতে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। এর মধ্যে একজনের হাত ও পায়ে অপারেশন করতে হবে এবং অন্যজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় মোট ১৩ জন মারা যান।
২৯ জুলাই ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাতজনকে। চিকিৎসা নিয়ে পরদিনই হাসপাতাল ছাড়েন একজন। তা ছাড়া ৫ আগস্ট আয়াত ইসলাম ও ৬ আগস্ট তাসফির হাসান চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। বর্তমানে তৌকির ইবনে শাওন হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে ও মাহবুব হাসান মাহিন কেবিনে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তৌকিরের হাত ও পায়ে অপারেশন এবং ঘাড়ে আঘাতের কারণে মাহিনকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।তৌকির ইবনে শাওনের ভাই মো. তারেক হোসেন বলেন, ‘তৌকিরের হাত ও পায়ের সমস্যা আছে। তাই চিকিৎসক বলেছেন তাকে অপারেশন করাতে হবে। তবে কখন করাতে হবে তা এখনো জানানো হয়নি।’ মাহবুব হাসান মাহিনের বাবা মহিউদ্দিন মনসুর বলেন, ‘চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালের কেবিনে আনা হয়েছে। তবে বর্তমানে চিকিৎসার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’ চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাজেদ সুলতান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকেই তৌকিরের মাল্টিপল ফ্র্যাকচার ছিল। তা ছাড়া মাহিনের ঘাড়ে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য তৌকিরকে অর্থোপেডিক্স বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। তবে দুজনেরই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার দরকার হবে। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন।’ জানা যায়, ২৯ জুলাই সকালে হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের আরএনজে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাই খৈয়ারছড়া ঝরনায় বেড়াতে যান ১৮ জনের একটি দল। দুপুরে ফেরার পথে খৈয়ারছড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত এবং আহত হন সাতজন। নিহতের মধ্যে গাড়িচালক ছাড়া অন্যরা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর আহত সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।