লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আর দেরি না করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মধ্যবর্তী সরকার গঠন শেষে দেশ ছাড়ুন। আওয়ামী লীগের কাউকে দিয়ে নয়, এই মধ্যবর্তী সরকার গঠন করতে হবে ন্যায়-নিষ্ঠাবান, সৎ, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিকদের নিয়ে।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর ডিওএইচএসের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. অলি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দিন শেষ হয়ে আসছে। এটা বুঝতে পেরে শত শত নেতা আমেরিকা পালিয়েছে। এখন নেতারা সেখানে বৈধ হতে এলডিপির সদস্য হয়ে সার্টিফিকেট নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তারা প্রতিনিয়ত এলডিপিতে যোগ দিতে বিভিন্নভাবে তদবির চালাচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু দুষ্কৃতকারী বিদেশে পালানোর পাঁয়তারা করছে। এর মধ্যে বেশকিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন। যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যালট পেপার কেটে বাক্স ভর্তি করার মাধ্যমে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করেছে।’ অলি আহমদ বলেন, জনগণ আজ অতিষ্ঠ ও দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। সরকারের লোকেরা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান সম্প্রতি একাধিক সভায় বলেছেন, বিএনপির সাবেক দুই নেতা এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ও কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে নতুন বিএনপি হচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এ যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৩ বছরেও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। এমনকি টেলিফোনেও আলাপ হয়নি। তার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমানের এমন বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং দূরভিসন্ধিমূলক। এ ধরনের বক্তব্য আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতার কাছ থেকে আশা করিনি। তিনি বলেন, ‘সবকিছু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রাপ্তি শূন্য। এ ছাড়া আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুতের আমদানির যে চুক্তি হয়েছ তা দেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকারক।’ তিনি বলেন, ‘ভারত শুধু আমাদের কাছ থেকে নেবে, আর কিছুই দেবে না এটা হয় না। একতরফা বন্ধুত্ব বেশি দিন টিকে না।’