গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতজনিত কারণে মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যু হয়েছে! নিহত শাওনের মাথায় বা শরীরের কোথাও গুলি বা গানপাউডারের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেশজুড়ে আলোচিত শাওনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত শাওনের লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। পরে ফরেনসিক বিভাগ মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পাশপাশি সুরতহাল ও ভিসেরা রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষে আঘাতজনিত কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মাথার পেছনে থেঁতলানো আঘাত রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া গান শুটের কোনো আঘাত নেই দাবি করে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন নিহত শাওনের পরিবারকে ন্যায়বিচার প্রদান করতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহত শওনের পরিবার থেকে যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আইনি সহায়তার সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারীসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। সেই সংঘর্ষের পর থেকে পুলিশের গুলিতে শাওনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে আসছে বিএনপি।
