বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এবারেই ডাচ বিপ্লব?

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কাতার থেকে

নেদারল্যান্ডস। ইয়োহান ক্রুইফের দেশ। রুড গুলিত, ফন বাস্তেনদের দেশ। সেই দেশ বিশ্বকাপ খেলতে এলেই অন্তত গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিয়েছে প্রতিবার। কাতার বিশ্বকাপেও নিজেদের ইতিহাসটা ঠিক রেখেছে ডাচরা। তবে ‘টোটাল ফুটবলে’র জনক খ্যাত এই ডাচরা কখনো বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে চুমু খেতে পারেনি। কখনো নিরাশ করেছেন ক্রুইফরা। কখনো আবার ¯œাইডার-আরিয়েন রোবেনরা। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে টানা দুবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে নেদারল্যান্ডস। দুবারই হেরে যায় তারা। প্রথমবার জার্মানির কাছে। পরেরবার আর্জেন্টিনার কাছে। ২০১০ সালে ফাইনাল খেলে পরাজিত হয় স্পেনের কাছে। তবে ডাচদের ফুটবলের প্রতি ভক্তদের আকর্ষণ কমেনি। বিশ্বকাপে কমলা বিপ্লব দেখার আশায় তারা চাতক পাখির মতোই অপেক্ষায় আছেন। এবারে কী হবে ডাচ বিপ্লব?

গ্রুপ পর্বটা দারুণভাবেই শেষ করল নেদারল্যান্ডস। সেনেগালকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। স্বাগতিক কাতারকেও হারিয়েছে ২-০ গোলে। ১-১ গোলে ড্র করেছে ইকুয়েডরের সঙ্গে। চলমান বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত কেবল একটা গোল হজম করেছে ডাচরা। বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৫ বার। সুযোগ তৈরি করেছে অনেকবারই। তবে ডাচদের এবার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, নিখুঁত টার্গেটে শট। সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচে ৩টা অন টার্গেট শট নিয়ে দুবারই বল জালে জড়িয়েছে তারা। ইকুয়েডরের বিপক্ষে একটা অন টার্গেট শট নিয়েই তা কাজে লাগিয়েছে। কাতারের বিপক্ষে ৪টা অন টার্গেট শট নিয়ে গোল করেছে দুটা। ডাচ লিগের ক্লাব পিএসজিতে খেলা ফুটবলার কোডি গাকপো এরই মধ্যে তিনটা গোল করেছেন তিন ম্যাচে। পাশাপাশি ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ঙরাও খেলছেন দুর্দান্ত ফুটবল। মেমফিস ডিপেই, ফন ডাইকরা মিলে দারুণ এক দল এবার নেদারল্যান্ডস। কাতার বিশ্বকাপে ট্রফি জয়ের বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্রাজিল। এরপর ফ্রান্সের নামও আছে। নেদারল্যান্ডসের নাম এবার তেমন কেউই আলোচনা করেনি। গতবার বিশ্বকাপই খেলতে পারেনি যারা তাদেরকে নিয়ে আলোচনা করে লাভটা কী! অনেকে হয়তো তাই ভেবেছিল। তবে বিশ্বকাপে কমলা বিপ্লবের রঙিন ছবিগুলো এখন প্রকট হতে শুরু করেছে। ডাচদের এখন কেউই আর তালিকার বাইরে রাখতে পারে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর