শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ধর্মঘট সমাবেশ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি

গণগ্রেফতারের অভিযোগ

আইজিপির সঙ্গে বৈঠক বিএনপি নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে গতকাল বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সারা দেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, হামলা ও গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। নরসিংদী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে রাতে বিএনপির পক্ষে স্লোগান দিয়ে বোমা ফাটিয়ে আবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই ক্ষমতাসীনদের মামলা দায়েরের অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগে বলা হয়- মিথ্যা ও গায়েবি মামলার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীনরা। আইজিপির কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দলের মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ সময় বরকতউল্লা বুলু আইজিপির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বৈঠকে আইজিপি ছাড়াও সদর দফতরের আরও ছয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বরকতউল্লা বুলু বলেন, নরসিংদীতে নিজেরা মিছিল করে বিএনপির নামে স্লোগান দিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। পরে তারাই আবার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। একই মামলায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ, যুবলীগের পাশাপাশি পুলিশও বাদী হয়েছে। তিনি জানান, বৈঠকে আইজিপির পক্ষ থেকে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের স্থানের বিষয়টি উত্থাপন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করার জন্য নানাভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিএনপির ভালোর জন্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ছাত্রলীগের সমাবেশ দুই দিন এগিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং এখন তো বিএনপির সেখানে সমাবেশ করার ক্ষেত্রে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এর জবাবে বরকতউল্লা বুলু বলেন, সমাবেশের স্থান নির্ধারণের বিষয়টি আমাদের দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত। আমরা এসেছি সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের গণহারে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের বন্ধ ও প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে। সমাবেশের স্থান নিয়ে আলোচনা করতে নয়।

 বৈঠকে দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, বুধবার রাতে রাজশাহীতে ১৮০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই দিন হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের ‘লয়ার অর্ডার’ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে তাদের গ্রেফতার করে গাবতলী থানায় পাঠিয়েছে। মুন্সীগঞ্জ কোর্ট থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইজিপির পক্ষ থেকে ঢাকায় কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইসহ সারা দেশে জঙ্গি আতঙ্কের বিষয়টি তুলে ধরা হলে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন বরকতউল্লা বুলু।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর