সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

৮০-তে পা রাখলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮০-তে পা রাখলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৮০-তে পা রেখেছেন। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা হাজী মো. তায়েব উদ্দিন, মা তমিজা খাতুন।

হাওরের কাদা-মাটি-জলে গড়াগড়ি খেয়ে বেড়ে ওঠা আবদুল হামিদ নিকলী জিসি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে একই কলেজে বিএ শেষে ঢাকা ল’ কলেজ থেকে অর্জন করেন এলএলবি ডিগ্রি। ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। উদয়াস্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে অল্প দিনেই কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একচ্ছত্র নেতায় পরিণত হন তিনি। এক সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহ সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত পছন্দে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি বিস্তীর্ণ হাওরের দুর্গম এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে (ময়মনসিংহ-১৮) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। পরে একই সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে আবারও তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ ২০তম রাষ্ট্রপতি হন। গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বাধীনতা পদক লাভ করেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গতকাল এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর