এ যেন এভারেস্ট জয় করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বেসক্যাম্প থেকেই বিদায়! ৩২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯৪ রানেই অলআউট। ১৩২ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ আগেই হাতছাড়া। ‘ফুলস্টপ’ পড়ে গেল ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের রেকর্ডবুকে। তামিমদের থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড। দেশের মাটিতে টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের পর অবশেষে হেরে গেল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে সব শেষ এই ইংলিশদের বিরুদ্ধেই সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ৭ বছর পর আবারও ইংলিশরাই আটকে দিল লাল-সবুজের জয়যাত্রা।
প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে কাল জয়ের বিকল্প ছিল না। আর এই ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচিত হওয়ায় এ ম্যাচে সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করেন অধিনায়ক। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলালেও ম্যাচে ফলে কোনো পরিবর্তন হয়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার।
এ ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কেবলমাত্র সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধাই করতে পারেননি। এ ম্যাচেও টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, ৫০ ওভার বাইশগজেই থাকতে পারেননি স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচেও অলআউট, এ ম্যাচেও তাই। ৩২ বল আগেই খেলা শেষ।গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রান করে ইংল্যান্ড। ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় খেলেন ১২৪ বলে ১৩২ রানের ক্যারিশম্যাটিক ইনিংস। একটি ছক্কা ও ১৮টি চারে সাজানো নান্দনিক এক ইনিংস। সফরকারী দলের ক্যাপ্টেন জস বাটলার ৬৪ বলে খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। টপ অর্ডারে জেসন রয়, মিডল অর্ডারে বাটলার আর লোয়ার অর্ডারে বাইশগজে ঝড় তোলেন মঈন আলী ও স্যাম কারেন। ৩৫ বলে ৪২ করেন আলী, কারেন করেন ১৯ বলে ৩৩ রান। বাংলাদেশের কোনো বোলারই ইংলিশ ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারেননি। তাসকিন তিন উইকেট নিলেও ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৬। সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই উইকেট নিলেও ১০ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৭৩ রান।
প্রথম ম্যাচে তবু বোলাররা দাপট দেখিয়ে আশা জাগিয়ে ছিলেন, এ ম্যাচে যেন পাত্তাই পেলেন না টাইগাররা। সব বিভাগেই ব্যর্থ। টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি এখন যেন হয়ে গেল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।