সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন ধাপের সতর্কতা ঠেকাতে পারে দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন ধাপের সতর্কতা ঠেকাতে পারে দুর্ঘটনা

আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলেছেন, বদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানি। এসব ঘটনা ঠেকাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ঘরে যেন গ্যাস জমতে না পারে এ জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ি, অফিস তৈরিতে মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহার করতে হবে। এই তিন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজধানীর মিরপুর রোডে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাই নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের। গ্যাস মজুদ হওয়ার পর ওই ঘটনা ঘটেছিল। একইভাবে মুগদা, মগবাজারে দুর্ঘটনায় বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ঘরে গ্যাস মজুদ হয়ে থাকলে যে কোনোভাবে স্পার্ক পেলেই ঘটে দুর্ঘটনা। অনেক সময় বিদ্যুতের সুইচ চাপলে স্পার্ক হলে সেখান থেকেও বিস্ফোরণ ঘটে। যে কোনোভাবে আগুনের উৎস পেলেই ভয়াবহ বিপদ নেমে আসে। নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনা তদন্তে গিয়ে দেখা যায় মসজিদের ভিতরে এসিগুলো গলে গেছে। বিস্ফোরক ছাড়া কীভাবে সম্ভব? খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস জমে থাকায় বিস্ফোরণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে জানালা-দরজা কাচ ঘেরা হওয়ায় গ্যাস বের হতে পারে না। ফলে ছোট আগুনের স্পার্ক পেলেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ আরও বলেন, দুর্ঘটনাগুলোতে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই এ প্রতিষ্ঠানগুলো দায় এড়াতে পারে না। পুরনো লাইন ছিদ্র হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় বিদ্যুৎ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ভবন নির্মাণে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে নিয়মিত তদারকি করতে হবে। জনগণকে সচেতন হতে হবে। ভবন নির্মাণ করার সময় মানসম্পন্ন কাঁচামাল ও পণ্য ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করতে হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তবেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো যাবে। এভাবে প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না। যারা আহত হয়ে মৃৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করে, তাদের কষ্ট সহ্য করা যায় না। এ রকম পরিস্থিতিতে আর কেউ যেন না পড়ে সে জন্য সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

সর্বশেষ খবর