সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

আদানির চুক্তি বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদানির চুক্তি বাতিলের দাবি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের আদানি পাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি বিবেকবান দেশপ্রেমিক মানুষকে হতবাক আদানির চুক্তি বাতিলের করেছে। বিবেকবর্জিত ও দেশের স্বার্থবিরোধী বিদ্যুৎ চুক্তি আদানি পাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে করা হয়েছে। এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের সম্পদ লুট করার এই চুক্তিকে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় সরকারকে উপঢৌকন হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন, অর্থ পাচার ও সীমাহীন লুটপাটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই চুক্তি মূলত আদানির পকেট ভরার চুক্তি, একপেশে ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ কোম্পানিগুলোর প্রতি ইউনিটের বিক্রয়মূল্য দরপত্রে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫২ পয়সা দিল। অজ্ঞাত কারণে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে না দিয়ে ৮ দশমিক ৭১ পয়সা অর্থাৎ অতিরিক্ত ৭০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি মূল্যে আদানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়।

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য পিডিবিকে মাসে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হবে ৩৯ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার, এ তথ্য জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই হিসেবে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে ৪৭৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার। আর ২৫ বছরে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। এই চুক্তির বিশেষ দিক হলো বিদ্যুৎ না নিলেও কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। কয়লার ক্যালোরিফিক নির্ধারণের কোনো বিষয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে নিম্ন মানের কয়লা ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের কিছু করার নেই। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু।

 

সর্বশেষ খবর