আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ সংক্রান্ত আইনের গুড প্র্যাকটিস নিয়ে আলোচনা করছে। তাছাড়া আইনটি নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও পরামর্শ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তাকে এসব কথা জানান। এ সময় জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক হাইকমিশনারকে অবহিত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে এই আইনের অপব্যবহার বর্তমানে অনেক কমেছে। আইনমন্ত্রী জানান, উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ করছে। সম্প্রতি প্রস্তাবিত আইনের একটি খসড়া প্রকাশিত হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনটি নিয়ে সরকার বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে পরামর্শ করছে। বৈঠকে হাইকমিশনার জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁর অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারে জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টাকে সফল করতে জাতিসংঘের অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।