পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মোমেনের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- র্যাবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালেই বাহিনীটির হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না। উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমেরিকায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এ সপ্তাহে স্কুলে বাচ্চাদের মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে কি কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা হঠাৎ করে হতেই পারে। তিনি আরও বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনা জানলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও র্যাব বলতে পারবে। উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর ২৪ মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী ছিলেন।