শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েই মাঠ ছেড়েছে বিএনপি। এবারের নির্বাচনে তারা প্রার্থী দিতে চায় না। কিন্তু বিএনপির তৃণমূল নেতারা ঠিকই মাঠে থাকছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রচারণায়ও থাকছেন নেতারা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী যারা আছেন তারা নিজ দায়িত্বে লড়াই করবেন। দল কাউকে সমর্থন দেবে না। দলের সিনিয়র কোনো নেতা প্রচারণায় থাকলে তিনিও নিজ দায়িত্বে থাকবেন। বিএনপি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না, কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও করছে না। রাজশাহী সিটিতে এবার ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ আর নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার হয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন। যারা প্রথমবার ভোট দেবেন। ১৫২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৩ কক্ষে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দল ভোটে আসুক তারা তা চান। কারণ এটি সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজের শহরের মেয়র কে হবেন সেখানে তাদের ভূমিকা থাকা দরকার। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হবেন। কিন্তু ভোটে না আসায় তারা সে সুযোগ হারাচ্ছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে দল যাবে না। ফলে সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। জনগণ ভোট দিতে না পারলে নির্বাচন করে লাভ কী?’ বিএনপি নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিলেও বসে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তিনি মাঠে নেমে পড়েছেন। ২৩ এপ্রিল থেকে নগরীর প্রতিটি পাড়ামহল্লায় নির্বাচনী কমিটি গঠন শুরু করেছেন। এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমরা জনগণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। পাঁচ বছর পরপর জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের চাওয়াপাওয়ার কথা শুনছি। জনগণ নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছে তাদের জন্য আমরা কী করছি। যারা উন্নয়ন চায় না, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচনে আসছে না।’ এবার লিটনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটের মাঠে নেমেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। তিনি দলের রাজশাহী মহানগরীর সিনিয়র সহসভাপতি। মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও ইমাম। লালমনিরহাটের ফারুকী কয়েক বছর আগে রাজশাহীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে রাজশাহীতে হাতপাখা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। গত সিটি নির্বাচন আমাদের জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের ছিল। এবার আমরা অনেক বেশি ভোট পাব।’

সর্বশেষ খবর