শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
তুরস্কে হাড্ডাহাড্ডি

দ্বিতীয় দফা ভোট হবে এরদোগান ও কামালের

প্রতিদিন ডেস্ক

দ্বিতীয় দফা ভোট হবে এরদোগান ও কামালের

তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত ভোট গ্রহণের ফলাফল অনুযায়ী, ৯০ শতাংশের বেশি ভোট গণনা শেষে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। যদিও পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসাব বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা অনুযায়ী এরদোগান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিরিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট। ৫ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন সিনান ওগান। এরদোগান এগিয়ে থাকলেও তিনি শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় তাকে আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফা বা রানঅফ ভোটে কামালের সঙ্গে লড়তে হবে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট গণনা দেখা যাচ্ছে, এরদোগানের দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে। এ অবস্থায় এরদোগান দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি। এরদোগান বলেন, ‘প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনো তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষের ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।’

এদিকে ফল ঘোষণায় বিলম্বের অভিযোগ তুলেছেন কামাল কিরিচদারোগলু। তার দাবি, ভোট গণনা এতক্ষণে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণায় বিলম্ব করছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফল ঘোষণায় বিলম্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিগগিরই ভোটের ফল জানা যাবে। দেশের জনগণ আর বেশিক্ষণ এ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চায় না। ভোটে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নিয়ে কেউ শঙ্কিত হবেন না।’

খবরে বলা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার তিন নম্বর প্রার্থী সিনান ওগানের দিকে এখন সবার দৃষ্টি রয়েছে। তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেন- সেটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এবারের নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন শতকরা ৫.২ ভাগ ভোট। তার এই অল্প পুঁজি এখন রানঅফ নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সমর্থকদের ভোট এরদোগান এবং কিরিচদারোগলুর মধ্যে জয় পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সিনান ওগানকে এখন ‘কিং মেকার’ ভাবা হচ্ছে। তবে তিনি বলেছেন, বিরোধী প্রার্থী কিরিচদারোগলু যদি কুর্দিপন্থি এইচডিপি পার্টিকে জোট থেকে বাদ দিতে পারেন- তাহলে তিনি তাকে সমর্থন দেবেন।

উল্লেখ্য, রবিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তুরস্কে চলে ভোট গ্রহণ। প্রায় সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন, যা দেশটির মোট ভোটারের ৮৭ দশমিক ৬৭ শতাংশের কাছাকাছি।

 

সর্বশেষ খবর