গাজীপুরের কালীগঞ্জের দক্ষিণ সোম টিওরীর পাঠানবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চিত্রনায়ক, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বিএফডিসিতে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন এ অভিনেতা।
গতকাল সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁর লাশ পৌঁছায়। সেখান থেকে ফারুকের নেওয়া হয় উত্তরার বাসভবনে। দুপুর পৌনে ১২টায় লাশ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান মেজর জেনারেল কবির আহমেদ। স্পিকারের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান। আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও শ্রদ্ধা জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ফেরদৌস, মিশা সওদাগর, নিপুণ, জায়েদ খান প্রমুখ। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল ও অনড়। তিনি আদর্শ থেকে কখনো একচুলও ছাড় দেননি। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মানবিক সব গুণই তাঁর ছিল। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা জানায়। এরপর ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, অভিনেতা আলমগীর, ডিপজল, মিশা সওদাগর, ওমর সানী, রুবেল, ফেরদৌস, নীরব, কায়েস আরজু প্রমুখ। ফারুককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে আসেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, রোজিনা, অঞ্জনা, নিপুণ, নাসরিন, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, এসডি রুবেল প্রমুখ। সেখান থেকে তাঁর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হয় চ্যানেল আইতে। সেখানে হয় তৃতীয় জানাজা। চ্যানেল আইয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও এতে অংশ নেন নায়ক শাকিব খান। শাকিব খান বলেন, ফারুক ভাই অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি শুধু একজন কিংবদন্তি অভিনেতাই নন, একজন সফল মানুষ। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় গুলশানে আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে স্বজনরা রওনা দেন গাজীরের কালীগঞ্জের দক্ষিণ সোম টিওরীর পাঠানবাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে পঞ্চম ও শেষ জানাজা শেষে রাত ৯টায় বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয় প্রয়াত এই নায়ককে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মে মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক।