সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে জোর প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এগিয়ে নিতে ঐকমত্য

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের আরও উন্নয়ন। তিনি বলেন, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।

গতকাল চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর : চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বেইজিং। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অতিথি করতে চায় চীন। কিন্তু ওই সময় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে তিনি চীনে যেতে পারছেন না। তাই সুবিধাজনক সময়ে সফরটি আয়োজনের জন্য দুই দেশ কাজ করবে। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প এগিয়ে নিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও চীন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সফরে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে ঢাকা-বৈইজিং। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে সুষ্ঠু ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা উভয়েই একই মতামত ব্যক্ত করেছেন যে, রোহিঙ্গা সমস্যার একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি এর কোনো সমাধান না করা হয় তবে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে বিকশিত হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রশংসা করে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ড. মোমেন কভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন চীন যে সহায়তা দিয়েছিল তা গভীর প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় সম্মত হওয়া প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করে বলেন, এই তরুণরা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ১০তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ এই মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।

সর্বশেষ খবর