রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আন্দোলন চূড়ান্তের দিকে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলন চূড়ান্তের দিকে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলমান আন্দোলন এখন তীব্র গতিতে তার চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের সময় শেষ।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। আমাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।

গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। এর আগে দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জীবনভিত্তিক বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় নয়াপল্টনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা শরাফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, নগরনেতা নবী উল্লাহ নবী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সরকারের অপকর্ম সম্পর্কে সারা বিশ্ব অবগত। আমেরিকার ভিসানীতি কেন? কই আর কোনো রাষ্ট্রের জন্য তো এই ভিসানীতি হয়নি। কারণ, এদেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে। তিনি বলেন, নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাজেটের নামে মশকরা করছে দেশের মানুষের সঙ্গে। এটা গরিব মারার বাজেট।

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ। এ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৪-৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন মহাসচিব। তিনি বলেন, সরকার মরণ কামড় দেবে টিকে থাকতে, আমরাও মরণ কামড় দেব তাদের বিদায় করতে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে।

চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান : ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় সেগুনবাগিচায় চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর, প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে : গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। আর এ জন্যই তারা দলীয় সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের ওপর ভর করেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দোয়া মাহফিলের মতো শান্তিপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আবারও একথা প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর