রাজধানীর পল্লবীতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন তিনি। এ সময় সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন।
গতকাল পল্লবীতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঝটিকা অভিযানে বেরিয়ে আসে অব্যবস্থাপনার নানা চিত্র। দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে রোগীর স্বজনদের অসংখ্য অভিযোগ। অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত ৫ জুন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ব্যাংক কর্মকর্তা নাদিয়া নূরের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখতে পান, মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার জরুরি বিভাগে নেই ইকো করার ব্যবস্থা। অথচ হৃদরোগের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল এটি। ইকো করাতে হলে জরুরি রোগীকে টেনে নিয়ে যেতে হবে তিনতলা অথবা পাঁচতলায়। হাসপাতালের অভ্যর্থনা ডেস্কে লাইসেন্স টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও সেসব নির্দেশনা মানার বালাই নেই। কর্তৃপক্ষ বলেছে এটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল। অথচ রোগী ভর্তি রয়েছে তার চেয়ে বেশি। হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সিসিইউ ও আইসিইউ ঘুরে এসব অনিয়ম দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কিছু অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। এগুলো শুধরে নেওয়া এবং রোগীদের মানসম্মত সেবা দিতে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। হাসপাতালে শয্যার বিপরীতে রোগী কখনোই বেশি ভর্তি রাখা উচিত নয়। আর সবসময় যাতে একটা ভালো ব্যবস্থাপনা থাকে সেটা বলে দিয়েছি। উনাদের সময় দিয়েছি। এরপর আবার আমাদের লোকজন এসে দেখে যাবে। তাতেও যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দরিদ্র রোগীদের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অন্তত ৫ শতাংশ শয্যা বরাদ্দ রাখার জন্য বলেন তিনি।
