মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে মর্টার শেল ও যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলার বিস্ফোরণে আবারও কেঁপে উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেমে থেমে বিস্ফোরণে আতঙ্কে সীমান্তের বাসিন্দারা নির্ঘুম কাটিয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের ফলে সীমান্তের একাধিক বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সীমান্তের মানুষ।
বিশেষ করে উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ, নোয়াপাড়া, সাবরাং ও পৌরসভার মানুষ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আতঙ্ক এবং ভয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের মংডু শহরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা ও গ্রেনেডের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ সীমান্তের জনজীবনকে আতঙ্কিত করে তুলছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াা জরুরি। হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে গোলাগুলির শব্দে সীমান্তে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় অযথা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, সীমান্তে প্রায়ই গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ নেজামী জানান, মিয়ামারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ার বাসিন্দা আবদুর রহিমের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমার থেকে আসা একটি গুলি পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইতঃপূর্বে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের গোলার আঘাতে দুজন নিহত হয়।