চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস (৩৫) ও রিপন দাসকে (২৭) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে চন্দনের সাত দিন ও রিপনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পরে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এ শুনানিকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার পর আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত ভবনে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। এ সময় তারা ইসকনকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। পুলিশ জানিয়েছে, আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সিএমপির কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে অপর আসামি রিপন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম মামলার এজাহারে নেই। তবে ঘটনার সময় ভিডিও ফুটেজে বঁটি হাতে তাকে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জাতীয় পতাকা অবমাননার একটি মামলায় গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণের উল্টোপাশে আইনজীবী আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে চিন্ময়ের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তার ভাই খানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন। এ ছাড়া সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।