পুরান ঢাকার চকবাজারে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সাবিনা আক্তার নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার ভোরে যশোরের বাঘারপাড়া থানার মির্জাপুর মধ্যপাড়া এলাকা থেকে সাবিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবিনা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার এক মাস আগে সাবিনার সঙ্গে নজরুলের পরিচয় হয়। চাকরির জন্য সাবিনাকে নজরুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরিচয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ ডিসেম্বর নজরুলের স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকায় সাবিনাকে তিনি বাসায় ডাকেন। রাতের শেষভাগে সাবিনা চাকরি ও বিয়ের দাবি তোলেন।
এ নিয়ে নজরুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ভোর ৫টার দিকে সাবিনা নজরুলকে শিলপাটা দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করেন। এতে নজরুল জ্ঞান হারান। এর পর তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সাবিনা। তিনি নজরুলের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। হত্যাকাণ্ডের পর ওই দিন ভোরেই ব্যবসায়ী নজরুলের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান সাবিনা। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর পর ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাবিনাকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়।