আগামী ফেব্রুয়ারিতে নারী উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। এর আগে আসছে জানুয়ারিতে নারীবিষয়ক সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। এরই মধ্যে নারী সংগঠন, সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিজেদের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা এমনিতেই দেরিতে কাজ শুরু করেছি। তাই অগ্রগতি তেমন হয়নি। তবে জানুয়ারির পুরোটা সময় আমরা নারী সংগঠনসহ অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করা হবে।’ এজন্য ফেব্রুয়ারি মাস লাগতে পারে বলে জানান তিনি। কমিশনের একাধিক সদস্য জানান, সংস্কার কমিশনের ঘোষণা দেওয়ার পর কমিশন গঠনে লেগে গেছে এক মাস। কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন এলেও কোথায় কার্যালয় হবে সে সিদ্ধান্ত আসে আরও আট-দশ দিন পর। এ কারণে সদস্যরা চাইলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করবে ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন’। কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তৈরিকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্পশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।